ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বৈদ্যুতিক সংযোগে আর্থিং রডের মান নিশ্চিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৯:০২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বৈদ্যুতিক সংযোগে আর্থিং রডের মান নিশ্চিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈদ্যুতিক সংযোগে ব্যবহৃত আর্থিং রডের (গ্রাউন্ডিং রড) গুণগত মান নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আর্থিংয়ে ব্যবহৃত রডের গুণগত মান নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। অন্যদিকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আরও সময় পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার এ্যাটর্নি জেনারেল আরও দুই সপ্তাহ সময় চাইলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের বেঞ্চ ১৪ মার্চ পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করে। বৈদ্যুতিক সংযোগে ব্যবহৃত আর্থিং রডের (গ্রাউন্ডিং রড) গুণগত মান নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মিজান মিয়া নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের করা এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশেদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। পরে আইনজীবী রাশেদুল হক সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘নিম্ন মানের গ্রাউন্ডিং রড, ঝুঁকিতে জীবন ও বিতরণ ব্যবস্থা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুতের নতুন সংযোগে নকল আর্থিং রডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যুতের মাটির নিচের ব্যবহৃত এসব আর্থিং রড নিয়ে ভয়াবহ জালিয়াতি চলছে। সংঘবদ্ধ চক্র পুরনো ঢাকার ধোলাইখাল, ধূপখোলা, যাত্রাবাড়ী ও লালবাগসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ কারখানায় গোপনে এসব নকল রড তৈরি করে বিক্রি করছে। নিম্নমানের রং করা এসব রড পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের বিভিন্ন কাজে লাগানো হচ্ছে, যা ব্যবহার বিপজ্জনক ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে রডসহ অন্যান্য নকল সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে পল্লী বিদ্যুত সমিতির তালিকাভুক্ত আর্থিং রড ব্যবসায়ীরা নকলবাজদের দাপটে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। অনেকেই দিনের পর দিন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর নকলের কারণে গ্রাহকদের টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ও লাইটসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বার বার নষ্ট হচ্ছে।
×