ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘দুর্নীতি রোধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে এগোচ্ছে দুদক’

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

‘দুর্নীতি রোধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে এগোচ্ছে দুদক’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যে কোন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপেই দুর্নীতির সুযোগ থাকে। দেশের যে কোন প্রকল্প কিংবা কর্মসূচীতে দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার আগেই তা দমন করার আইনী ম্যান্ডেট রয়েছে আমাদের। তাই সরকারের নেয়া প্রতিটি প্রকল্পসহ সকল কর্মকা-ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়েই এগোনোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। একই সঙ্গে প্রতিটি প্রকল্পে অনৈতিক কর্মকা- রোধকল্পে প্রকল্পে উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করে মালিকানা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকল্প টেকসই করার আহ্বান জানান তিনি। সোমবার সকালে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) কমপ্লায়েন্স, ইফেক্টিভনেস ও ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের মহাপরিচালক হামিদ শরীফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু মোঃ মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক মোঃ মঈদুল ইসলাম, মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী ও এআইআইবির সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট স্পেশালিস্ট হংলিং ইয়ং, সিনিয়র ফিন্যান্স স্পেশালিস্ট হিয়ান ওয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইকবাল মাহমুদ বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপেই দুর্নীতির সুযোগ থাকে। তাই প্রত্যেক ধাপেই সতর্ক থাকতে হবে। তাই কারিগরি মূল্যায়ন কমিটিতে বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট) প্রতিনিধিদের রাখা যেতে পারে। এতে দুর্নীতি কমতে পারে। আমরা দুর্নীতিকে নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এটি একক দেশের কোন সমস্যা নয়, বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের চেষ্টা করছি। আমরা চীনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের দিকে দৃষ্টি রাখছি। একই সঙ্গে চীনের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরেরও চেষ্টা করছি। এআইআইবির প্রকল্পে কেউ কোন রকম দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া প্রতিটি প্রকল্পের উপকারভোগীদের প্রকল্পে সম্পৃক্ত করলে তাদের যেমন মালিকানা সৃষ্টি হয়, তেমনি প্রকল্প টেকসই হয়। একই সঙ্গে অনৈতিক কর্মকা- সংঘটিত হওয়ার সুযোগ হ্রাস পায়। প্রতিনিধিদলটির দলনেতা এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) কমপ্লায়েন্স, ইফেক্টিভনেস ও ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের মহাপরিচালক হামিদ শরীফ বলেন, এআইআইবির প্রতিটি প্রকল্প হবে জাল-জালিয়াতি, সম্পদের অপব্যবহার ও দুর্নীতিমুক্ত। এ ক্ষেত্রে কমিশন ও এআইআইবি যৌথভাবে কাজ করলে তারা বাংলাদেশে স্বচ্ছভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। ৫৭ সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত এআইআইবি ব্যাংকটির ছয়টি দেশে নয়টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুত বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে ব্যাংকটির ২৬২.২৯ মিলিয়ন ডলারের (প্রাক্কলিত) তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়েছে। ব্যাংকটির অর্থায়নের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছেÑ ‘দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতা’।
×