ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সামরিক ব্যয় ব্যাপক বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সামরিক ব্যয় ব্যাপক বাড়ছে

সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী বাজেটে প্রতিরক্ষা ব্যয় ব্যাপকহারে বাড়ানো ও সোশ্যাল সিকিউরিটি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় যথেষ্ট পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার জন্য তিনি ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেবেন বলে জানা গেছে। তার প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। ট্রাম্প যে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানো ও সোশ্যাল সিকিউরিটি খাতে ব্যয় কমিয়ে দিতে চান সেটি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। মঙ্গলবার কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে তিনি বাজেটবিষয়ক নির্দেশটি দিতে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের বাজেট পরিকল্পনার বিষয়ে প্রত্যক্ষভাবে জানেন এমন চারজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এনভায়রনমেন্টাল প্রকেটশন এজেন্সি এবং পররাষ্ট্র দফতরে শত শত কোটি ডলার বরাদ্দ ছাঁটাই করা হবে। তারা বলছেন, নতুন বাজেটে সামাজিক কর্মসূচীর আওতায় অবসরে যাওয়া লোকদের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া হবে। নিয়মানুযায়ী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক রূপরেখা সম্পর্কে খুব বেশিকিছু জানার কথা নয়। বিষয়টি কেবল হোয়াইট হাউস এবং ফেডারেল এজেন্সিগুলোর মধ্যেই সীমিত থাকে। কিন্তু এবারের বাজেট হতে যাচ্ছে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড বাজেট ডিরেক্টর ম্যাক কার্ভি, ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর গ্যারি কোহন এবং হোয়াইট হাউসের চীফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টেফেন ব্যাননের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে। নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণকে এটাই দেখাতে চান যে, তিনি যেভাবে কথা বলেন সেভাবেই কাজ করে থাকেন। এদিকে মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্পের বক্তৃতা নিয়ে ট্রাম্পের শীর্ষ কর্মকর্তারা রবিবার থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এ বক্তৃতায় অভিবাসন, অর্থনীতি ও বাজেট প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানা গেছে। এক সময়ের রিয়েলিটি শো উপস্থাপক ট্রাম্প এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রথম কয়েকটি সপ্তাহ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মধ্যে কেটেছে। অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের উপদেষ্টারা এখন একটি বিষয়ের ওপর জোর দেয়ার চেষ্টা করছেন যে, তিনি যা বলেন তাই করে থাকেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে ট্রাম্পের কমিুউনিকেশন স্ট্র্যাটেজিস্টদের অন্যতম জেসন মিলার বলছেন, ‘সবাই একজন মানুষের সব কথার সঙ্গে একমত হবে না। কিন্তু কথার পাশাপাশি কাজও করে দেখাতে পারলে অন্যদের সম্মান পাওয়া যায়।’ মিলার এখনও হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তিনি বলছেন, ট্রাম্প প্রথমবারের মতো কিছু কাজ করতে যাচ্ছেন, বিষয়টি নিয়ে পরেও কথা বলা যাবে। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা অবশ্য ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। বাজেটটি কংগ্রেসে পাস করাতে পারলে প্রেসিডেন্ট একটি বড় বাধা অতিক্রম করতে পারবেন। এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে তিনি প্রেসিডেন্টের পদে রয়েছেন। প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও সামাজিক খাতে ব্যয় কমাতে ট্রাম্পকে কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সম্মতি পেতে হবে। ২০১১ সালের বাজেট কন্ট্রোল আইনে এ বিষয়ে বরাদ্দ বাড়ানো বা কমানোর মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রকে এখন কোন বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করতে হচ্ছে না বা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিও এ রকম নয় যে, কোথাও আশু হস্তক্ষেপ জরুরী। তা সত্ত্বেও ট্রাম্পকে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তার আগে দেশটির কোন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা গ্রহণের এক মাস পার করার পরও এতটা বিতর্কের মধ্যে পড়তে দেখা যায়নি। -নিউইয়র্ক টাইমস
×