ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেললাইনের স্লীপারের আঁকা-বাকা রোধে বাঁশ ব্যবহার বিপদজ্জনক নয়

প্রকাশিত: ০১:২৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রেললাইনের স্লীপারের আঁকা-বাকা রোধে বাঁশ ব্যবহার বিপদজ্জনক নয়

সংসদ রিপোর্টার ॥ ব্রীজের মূল অবকাঠামোতে কখনোই বাঁশ ব্যবহার হয় না। ট্রেন চলাচলের ফলে কোন কোন স্লীপার আঁকা-বাকা হয়ে যাওয়া রোধে স্থানীয়ভাবে রেল কর্মচারীরা বাঁশ ব্যবহার করতে পারেন, যা বিপদজ্জনক নয়। কেননা ব্যবহৃত বাঁশ কোনরূপ ভার বহন করে না। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক একথা জানান। জাতীয় পার্টির অপর সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রেলওয়ের বিভিন্ন সেকশনে নতুন ট্রেন চালু করার একটি বড় বাধা হলো ডাবল লাইন না থাকা। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার পর্যায়ক্রমে সব গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে করিডোর/সেকশনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ের করিডোরসমূহকে ডাবল লাইনে রূপান্তরের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ভবিষ্যত অর্থায়ন প্রাপ্তিসাপেক্ষে রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সকল করিডোরকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে মোট প্রায় ৩৪৭ কিলোমিটার ডাবল লাইন বিদ্যমান আছে। টঙ্গী-চট্টগ্রাম সেকশনে প্রায় ২২৭ কিলোমিটার মিটারগেজ ডাবল লাইন বিদ্যমান আছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ’র প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, রেলওয়ের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার একটি কন্টেইনার কোম্পানি গঠন করেছে। এ কোম্পানি কার্যক্রম শুরু করলে রেলওয়ের আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ পুনস্থাপনের মাধ্যমে রেলওয়েতে মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে রেলওয়ে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। রেলওয়ের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবত রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি না করার ফলে রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কারণ এসময় জ্বালানী তেলের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি এবং সরকারি চাকুরিজীবিদের কয়েক দফা বেতন বৃদ্ধির ফলে পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। এজন্য রেলওয়েতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ভাড়া যৌক্তিকভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে চলমান বাজার মূল্যের সঙ্গে রেলওয়ের ভাড়া সমন্বয় অব্যাহত রাখা হবে যাতে করে আয় ব্যয়ের পার্থক্য অর্থাৎ লোকসান হ্রাস করা সম্ভব হয়।
×