ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস শাকিল আহমেদ

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রোদ  থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস শাকিল আহমেদ

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তায় প্রতিনিয়ত আপনার চলাফেরা। একদিকে কড়া রোদ, আর অন্যদিকে ধুলাবালি। নিজস্ব গাড়িতে চলাফেরা করলে আলাদা কথা, তবে আপনি যদি হন বাস, রিকশা বা মোটরসাইকেল আরোহী, তবে রোদ আর ধুলাবালি আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। তো আর যাই হোক মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ দুটি তো আপনাকে বাঁচাতে হবে? তাহলে চশমাই আপনার শেষ ভরসা। সেটা হতে পারে রোদ চশমা বা সাধারণ চশমা। আজকাল প্রয়োজনের পাশাপাশি চশমা ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা ব্র্যান্ড আর বাহারী ডিজাইনের চশমায় আপনার ব্যক্তিত্ব বাড়িয়ে দেবে অনেকগুণ। সাধারণ থেকে এক মুহূর্তে হয়ে যেতে পারেন ‘স্মার্ট লুকে’র অধিকারী। চোখের চারপাশের ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে রোদচশমা ব্যবহার জরুরী। প্রখর রোদে চশমা আরাম দেয় চোখে। তবে সব রোদচশমা আরাম না দিয়ে ক্ষতি করতে পারে। যেমন বাকা গ্লাস বা ফ্রেম শক্ত হলে চোখে ব্যথা হতে পারে। বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ভাল রোদচশমার বৈশিষ্ট্য ভাল রোদচশমার লেন্স অতিবেগুনি রশ্মির ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ আটকে দিতে পারে। এ ছাড়া দৃশ্যমান রোদের ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ থেকে চোখকে আড়াল করে রাখে। এই রোদচশমা রং ও আলো শোষণে সঠিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বিকৃতি ও অসম্পূর্ণতা থেকে মুক্ত। আলো ও রং সঠিকভাবে বুঝতে হলে ধূসর সানগ্লাস ভাল। সূর্যালোকে চোখের যত ক্ষতি চোখের সাদা অংশ পিংগুকুলা নামের সমস্যার কারণে চোখের সাদা অংশের ওপর স্বচ্ছ ও সরু আবরণ তৈরি হতে পারে। এতে কর্নিয়ার আশপাশে হলদে দাগ পড়তে পারে। আইরিস প্রখর সূর্যালোকের প্রভাবে নীল চোখের আইরিসে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। চোখের চারপাশের ত্বক অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে চোখের আশপাশের ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কর্নিয়া ধুলাবালু পড়ে চোখের কর্নিয়ায় সংক্রমণ হতে পারে। এতে কেউ কেউ ব্যথা থেকে শুরু করে সাময়িক অন্ধত্বের মতো গুরুতর সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। লেন্স আইরিসের পেছনে স্ফটিক-সদৃশ লেন্সে ছানি পড়ে যেতে পারে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছানি অপসারণ তেমন কঠিন নয় আজকাল। তার পরও রোদচশমা ব্যবহার করে ছানি পড়ার ঝুঁকি এড়ানোর সুযোগ রয়েছে। রেটিনা চোখের এই অংশটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। অতিবেগুনি রশ্মি এবং রেটিনা নষ্ট হয়ে বয়সজনিত অন্ধত্বের সম্পর্ক রয়েছে। যদি থাকে গায়ে লেখা ‘পোলারাইজড’, তার মানে এই নয় যে, তা অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করবে। পোলারাইজড রোদচশমা অত্যুজ্জ্বল আলো ম্রিয়মাণ করে। সাধারণত গাড়ি চালানোর জন্যই এ চশমা উপযোগী। যদি বৃষ্টির দিন হয় অথবা সমুদ্রে নামতে চান রোদচশমা চোখে দিয়ে, তবে পোলারাইজড লেখা দেখে কিনুন। লেন্সের রংও কিন্তু বিবেচনা করতে হবে। একেবারে ঘন কালো রঙের রোদচশমা মানেই চোখের সুরক্ষা নয়। বরং বিশেষ রং বিশেষ পরিবেশে উপযোগী। তুলনায় ধূসর, সবুজ, হলুদ, গোলাপি ইত্যাদি শেডের চশমা অধিক কাজে আসবে। ব্যক্তিগত পছন্দ রক্ষার পাশাপাশি এসব চশমা বিশেষ আলোয় বিশেষ সুবিধা দেবে। যেমন সবুজ রঙের চশমা সকালবেলা অথবা সাঁঝবেলায় বেশ কাজে দেয়। অধিক ফরসা দেখতে এ সময় সবুজ চশমা ব্যবহার করা যায়। লেন্স কোন উপাদান তৈরি তা খেয়াল করেন না অনেকেই। অথচ চোখের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সামনে এমন কিছু তো পরা যায় না, যা ক্ষতিকর। তাই চশমা কেনার সময় এসব বিবেচনায় রাখতে হয়। দামের কথা চিন্তা করে অনেকেই প্লাস্টিকের লেন্স কিনে থাকেন। বিশেষভাবে প্রস্তুত প্লাস্টিক দিয়ে এসব লেন্স তৈরি হয়। কেনার সময় তাই একটু খেয়াল রাখা দরকার। চোখে চশমাটা পরে ডানে-বামে বার কয়েক তাকানো দরকার। যদি লেন্সে কোন খুঁত থাকে, তাহলে সহজেই ধরা পড়বে। আলোক রশ্মি ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রবেশ করলেই বুঝবেন চশমায় কোন সমস্যা থেকে গেছে। মডেল : সাইফ সোহাগ
×