ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরের শোভা বর্ধনে বাঁশ বেতের ফার্নিচার

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঘরের শোভা বর্ধনে বাঁশ বেতের ফার্নিচার

স্বর্গ সমান নিজ ঘর। যে যেখানেই থাকুন দিন শেষে ফেরে নিজ ঘরে। শুধু তাই নয়, এমন অনেকেই আছেন যাদের আবার নিজের ঘর ছাড়া রাতে ভাল ঘুম হয় না। নিজ ঘর এমনই এক জায়গা। তাই এই ঘর সাজাতে কেউ কেউ আছেন দূর-দূরান্ত থেকে কত কি নিয়ে আসেন। কেউ আবার বিদেশী ফার্নিচারে ঘর সাজান। কেউ অতি শিল্পের বসে গাছের গুঁড়ি কেটেও ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন। তবে ঘর সাজাতে যে শুধু বিদেশী বা ভাল কাঠের ফার্নিচারই লাগবে এমন কোন কথা নেই। স্বল্প খরচে এবং রুচিশীল ডিজাইনে বেতের ফার্নিচার দিয়ে আপনার ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন। লিখেছেন- আরাফাত সুজন কাঠের বিকল্প হিসেবে বেতের ফার্নিচারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দামে কম, ওজনে হালকা, ফলে সহজে বহনযোগ্য, রুচিশীল এবং বার্নিশ বা এলামেল পেইন্ট ব্যবহারে দেখতে সুন্দর ও মজবুত থাকে বলে মানুষ এখন এ ধরনের আসবাবপত্রের দিকে ঝুঁকছে আজকাল। এসব আসবাবের মধ্যে- সোফা, টুল, ডাইনিং টেবিল, বাস্কেট, ফুলদানি, ল্যাম্প শ্যাডো, শো-পিস অন্যতম। হালকা ধরনের গদির ব্যবহারে তৈরি বেতের ডাবল সিট, ট্রিপল সিট এবং সিঙ্গেল সিটের সোফা বসার ঘরে ও শোবার ঘরে থাকতে পারে। বেতের তৈরি গ্লাস টব টেবিল ব্যবহার করা যেতে পারে ড্রয়িং রুমে। আয়নার সামনে থাকতে পারে পছন্দের টুল। পছন্দসই একটি কুশন কাভারে মোড়ানো কুশন টুলের ওপর রাখলে সৌন্দর্য বেড়ে যাবে অনেক বেশি। বাঁশের ডাইনিং টেবিলও দিতে পারে মনের মতো আবহ। বেতের সিঙ্গেল ও ডাবল খাটের পাশাপাশি বইয়ের তাক, বেতের মোড়া, চেয়ার, ইজি চেয়ার এবং বেতের ফুলদানিসহ আয়না ব্যবহার করা যেতে পারে বেড রুমে। দেয়ালের কোণে, বারান্দার পাশে, বেবি রুমে রাখতে পারেন বাস্কেট। যখন তখন কাগজের টুকরো, অপ্রয়োজনীয় ফেলনা রাখতে পারেন বাস্কেটের ভেতর। বাঁশের ফুলদানিগুলোও চমৎকার রূপধারী। আয়নার সামনে, টিভি বা শো-কেসের ওপর, বিছানার পাশে ফুলদানিগুলো রাখতে পারেন অনায়াসে। বাঁশের তৈরি বাহারি ল্যাম্প শ্যাডো জুড়ে দিতে পারে আলোর লুকোচুরির গল্প। শো-পিসগুলোও দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ঝুলে আনতে পারে ঘরের বৈচিত্র্য। বারান্দায় করা যেতে পারে চেয়ার অথবা মোড়ার ব্যবহার। বেতের তৈরি টেবিল, চেয়ার, ঝুড়ি অথবা দোলনা ব্যবহার করা যেতে পারে বাগানে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতেও মানানসই বেতের ফার্নিচার ব্যবহার করা যেতে পারে। অফিস, রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য স্থানে বেতের তৈরি ফার্নিচার ও বিভিন্ন ডিজাইনের শো-পিচ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এতে চাইলে দেশীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরা যেতে পারে। কোথায় পাবেন রাজধানীর পান্থপথ, গ্রিন রোড, মোহাম্মদপুর টাউন হল, উত্তর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা মাসকাট প্লাজা ও গুলশান মার্কেটে বাঁশ ও বেতের তৈরি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। আসবাবপত্রের ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে দরদাম। কেনার সময় দামাদামী করে কিনতে হবে। চেয়ার-টেবিলের সেট ১৪ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা। সোফা সেটের দাম ১৩ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা। বাচ্চাদের দোলনা ৩ হাজার ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা। মোড়া ৮শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা। খাট এবং ডিভান ৬ হাজার ৫শ’ থেকে ২২ হাজার টাকা। ঝুড়ি কিনতে গুনতে হবে ১ হাজার ৩শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা। সব ফার্নিচারেই দেয়া হয় ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র মেরামতে ঝামেলা নেই বললেই চলে। বাঁধন খুলে গেলে আবার বাঁধিয়ে রং করিয়ে নিলেই নতুনের মতো হয়ে যায়। যে কোন বাঁশ-বেতের দোকানেই মেরামত করিয়ে নেয়া যায়। কাজের পরিমাণ অনুযায়ী খরচ হতে পারে ২শ’ থেকে ১ হাজার টাকা।
×