ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

’১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট থাকবে না

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

’১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট থাকবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৮ সালের মধ্যভাগ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট থাকবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ। চার বছর মেয়াদে আবারও একই পদে পুনঃনিয়োগ পাওয়ার পর ঢাকা কমার্স কলেজের ‘সেরা বেসরকারী কলেজ উৎসব ২০১৭-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ র‌্যাংকিং ২০১৫ এ ঢাকা কমার্স কলেজ জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারী কলেজ নির্বাচিত হয়েছে এবং সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে চতুর্থ নির্বাচিত হয়েছে। আর সে উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ গবর্নিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক কাজী মোঃ নুুরুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যক্ষ মোঃ আবু সাইদ, উপাধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলামসহ শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ। অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজের অর্জন গৌরবময়। শীর্ষস্থান অধিকারী কলেজগুলোকে আমরা সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে আমাদের র‌্যাংকিং কার্যক্রমে সাড়ে ৪শ’ কলেজ অংশগ্রহণ করে। বেসরকারী পর্যায়ে ঢাকা কমার্স কলেজ প্রথম স্থান অধিকার করে। আর সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে তারা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। যেখানে দেশের অনেক নামীদামী সরকারী কলেজ এ স্থানে পৌঁছাতে পারেনি। এ সাফল্য ধরে রাখতে তিনি কলেজের সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সেশনজট অনেকাংশেই কমিয়ে এনেছি এবং পুরোপুরি সেশনজট কমাতে পারব। বর্তমানে মানসম্মত শিক্ষাকে প্রথম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি। ড. হারুন অর রশিদ বলেন, অনেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করেন। আমি তাদের বলব একবার এই কলেজটির দিকে তাকিয়ে দেখুন। এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভাল করছে। উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কলেজ শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি প্রকল্প আছে যার বাস্তবায়ন হলে উচ্চ শিক্ষায় একটি বড় ধরনের উন্নয়ন আসবে। শিক্ষার মান উন্নয়ন বড় চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবেলায় আমরা কাজ করছি। আমরা যত বিদ্যাই অর্জন করি না কেন তা যদি সমাজ, দেশ ও জাতির কোন কাজে না আসে তবে তা নিষ্ফল বলেও মনে করেন তিনি। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে উপাধ্যক্ষ বলেন, ১৯৮৯ সালে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজের এমন অর্জনে আমরা আনন্দিত। ১৯৯৬ এবং ২০০২ সালেও শ্রেষ্ঠ কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, র‌্যাংকিং করলে আমাদের বিশ্বাস প্রতিবছরই আমাদের কলেজ শ্রেষ্ঠ কলেজ হবে। অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি বলে জানানো হয়। এর আগে বিভিন্ন সেশনের ৬২ কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। এ সময় স্মরণীকা ‘প্রদৃপ্ত’ ও কলেজ বার্ষিকী ‘প্রগতি’ মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে অভ্যন্তরীণ সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া পুরস্কার এবং কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কমার্স কলেজের গবর্নিং বডির চেয়ারম্যান ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। নসরুল হামিদ নতুন প্রজন্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভবিষ্যত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকা কমার্স কলেজের কৃতী শিক্ষার্থীরা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত থাকার পরামর্শ দেন। প্রধান অতিথি ছাত্র-ছাত্রীদের সুশিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। পরে তিনি কলেজের খেলার মাঠ উদ্বোধন করেন।
×