ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বকেয়া বেতনের দাবিতে মির্জাপুরে দফতরিদের সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বকেয়া বেতনের দাবিতে মির্জাপুরে দফতরিদের সমাবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি ॥ মির্জাপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরীরা সমাবেশ করেছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে ২৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি করে বক্তব্য দেন দেওড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী মো ঃ সাইকুল, থলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী সুমন খান, হিলড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী নাছির প্রমুখ। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে মির্জাপুর উপজেলার ৪৪ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৪ দফতরি কাম প্রহরী পদে চাকরি নেন। কিন্তু ২৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কোন বেতন-ভাতাদি পাচ্ছেন না। চরবিলশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী জাকির হোসেন বলেন, আমরা বৈধভাবে চাকরি নিয়েছি এবং সঠিকভাবে চাকরিতে কর্মরত থেকে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু ২৩ মাস ধরে সরকার আমাদের বেতন-ভাতাদি দিচ্ছে না। এতে আমরা পিতা-মাতা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছি। আদাবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী খুরশেদুল আলম বলেন, আমরা চাকরিতে থেকেও কোন বেতন-ভাতাদি পাচ্ছি না। শুধু তাই নয় শিক্ষা অফিসে এসে খোঁজ-খবর নেয়ার মতো টাকাও তাদের পকেটে নেই বলে জানান। সমাবেশ শেষে এ উপজেলার ৪৪ দফতরি কাম প্রহরী স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সংবলিত কর্মরত থাকার প্রত্যায়নপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট জমা দেন। দফতরি কাম প্রহরীদের (তৃতীয় ধাপ) কেন্দ্রীয় সংগঠনের আহ্বায়ক গোলাম হোসেন বলেন, তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত সব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরীরা বৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু সরকার বেতন দিচ্ছে না। এতে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবন-যাপন করছি। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন। মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখছি। ভুক্তভোগী সবার কাছে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সংবলিত প্রত্যায়নপত্র চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার দফতরি কাম প্রহরী পদে একইভাবে চাকরি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
×