ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে দুই ট্রেন মুখোমুখি ॥ তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জয়পুরহাটে দুই ট্রেন মুখোমুখি ॥ তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ২৬ ফেব্রুয়ারি ॥ মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে দুটি ট্রেন। যাত্রীবাহী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং তেলবাহী ট্রেনটি রবিবার সকাল ৬.৩৫ মিনিটে জয়পুরহাটে মুখোমুখি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং জয়পুরহাট রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ৩২ ডাউন উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাট স্টেশনে ঢোকার মুহূর্তে আউটার সিগনালে লালবাতি এবং দূরে একটি ট্রেন আসতে দেখে ড্রাইবার মিজানুর রহমান ট্রেনটি থামিয়ে দেয়। অপরদিকে জামালগঞ্জ থেকে আসা কেপি-৪১ নং তেলবাহী মালগাড়ি জয়পুরহাট স্টেশনে না থেমে সরাসরি অগ্রসর হতে থাকে। এ সময় স্টেশন পেরিয়ে রেলক্রসিং এ কর্মরত গেটম্যান পংকজ কুমার লাল কাপড় উঁচিয়ে মালগাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করে। লাল কাপড় এবং বিপরীতমুখে ট্রেন দেখে ব্রেক কষে মালগাড়ির ড্রাইভার নুরুল ইসলাম। মালগাড়িটি উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের কাছেই রেললাইনের পয়েন্ট কানেক্টিং রড ভেঙ্গে থেমে যায়। ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। পাশাপাশি উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরাও রক্ষা পায়। এ ব্যাপারে জয়পুরহাট রেলস্টেশনে কর্মরত স্টেশন মাস্টার গ্রেড-৪ আব্দুল খালেক জানান মালগাড়িটি স্টেশনে ঢোকার আগে ড্রাইভার সিগনাল অমান্য করেছে। স্টেশনে ঢোকার আগে আউটার স্টেশনের বিপরীতে রেলক্রসিং এ কর্মরত আপগ্রেড গেটম্যান আনিছুর রহমান দ্রুতগতিতে মালগাড়ি যাওয়ায় ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়েছে এবং মালগাড়িটি ওভারসুট করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা মুহূর্তেই স্টেশন মাস্টারকে জানান। স্টেশন মাস্টার দ্রুত প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে মালগাড়ি আসার মুহূর্তে পাথর নিক্ষেপ করে ড্রাইভারের ঘুম ভাঙ্গায়। এ সময় ড্রাইভার মালগাড়িটি ব্রেক করলেও সেটি স্টেশন থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে এসে লাইনের কানেক্টিং রড ভেঙ্গে থেমে যায়। স্টেশন মাস্টার আরও জানান মালগাড়ির ড্রাইভার সিগনাল অমান্য করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে মালগাড়ির ড্রাইভার নুরুল ইসলাম স্টেশন মাস্টারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আউটার সিগনালে লাইন ক্লিয়ারেন্স ছিল। ঘটনার ব্যাপারে রেলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী জানান।
×