ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ালিটি এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ডধারীরা সিআইপি মর্যাদা পাবেন

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কোয়ালিটি এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ডধারীরা সিআইপি মর্যাদা পাবেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি এ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডধারীরা বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ বিষয়ক প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। রবিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদের (এনপিসি) একাদশ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের শিল্প ও সেবাসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কর্ম-কৌশল নির্ধারণের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। সভায় শিল্প, বাণিজ্য, পাট ও বস্ত্র, তথ্য, কৃষি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা, এফবিসিসিআই, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও নাসিবের প্রেসিডেন্ট, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, আইইবি, বাংলাদেশ জুট মিলস এ্যাসোসিয়েশন, এপিও সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, এনপিও, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উৎপাদনশীলতা বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ লক্ষ্যে এফবিসিসিআই এবং বুয়েটের সহায়তায় রাজধানীতে আগামী এক মাসের মধ্যে সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। মাধ্যমিক শিক্ষা কারিকুলামে উৎপাদনশীলতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক ধারণা জোরদারের লক্ষ্যে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি এনপিসির কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রতি ৬ মাসে একটি করে সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি গুণগতমানও জোরদার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি শিল্প খাতে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। শিক্ষিত তরুণদের জন্য সম্মানজনক কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারী- বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রোডাক্টিভিটি এ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধিরা একটি ট্রফি, সনদপত্র এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের অনুকূলে ৩ বছরের পাবলিসিটির জন্য এ্যাওয়ার্ডের লোগো ব্যবহারের সুযোগ পান। নতুন প্রস্তাবনায় তাদের সুযোগ-সুবিধা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিতদের অনুরূপ করা হবে। তাদের পরিচয়পত্র এক বছরের জন্য সচিবালয়ে প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য করা হবে। এ্যাওয়ার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারী যানবাহনে আসন সংরণে অগ্রাধিকার থাকবে। বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন তারা।
×