ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাক্ষাতকারে সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন

ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ আশাব্যঞ্জক সাফল্য লাভ করেছে

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ আশাব্যঞ্জক সাফল্য লাভ করেছে

কাওসার রহমান ॥ ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ আশাব্যঞ্জক সাফল্য লাভ করেছে। তাই এ চা চাষকে সরকার গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বান্দরবান, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাট জেলায় ১৬শ’ হেক্টর জমি ক্ষুদ্রায়তন চা চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলায় মোট এক লাখ এক হাজার ৭২৪ হেক্টর ক্ষুদ্রায়তন চা চাষযোগ্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে দেশের বিরাজমান চা পরিস্থিতি এবং ক্ষুদ্রায়তনের চা চাষ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়নে প্রণীত পথ নকশা সম্পর্কেও ব্যাখ্যা প্রদান করেন। ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ প্রসঙ্গে মামুন বলেন, বর্তমানে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ শুরু হয়েছে। স্মল হোল্ডিং টি কালটিভেশন ইন নর্দান বাংলাদেশ এবং স্মল হোল্ডিং টি কালটিভেশন ইন চিটাগাং হিল ট্রাক্টস’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ আশাব্যঞ্জক সাফল্য লাভ করেছে। বর্তমানে এসব এলাকায় চা চাষ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। নর্দান বাংলাদেশ, লালমনিরহাট এবং চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য আরও তিনটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে ও তিনটি পার্বত্য জেলায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষাবাদের মাধ্যমে চা চাষাধীন জমির পরিমাণ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। চা চাষে ভূমির ব্যবহার ৫৫ শতাংশ ও হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ১ হাজার ৫০০ কেজিতে উন্নীতকরণ, পুরানো ও অলাভজনক চা আবাদ এলাকায় আবার আবাদ, দক্ষ ব্যবস্থাপনায় নিবিড় চাষাবাদ, নতুন জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের ১৬২টি চা বাগান থেকে চায়ের উৎপাদন ১০০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করা সম্ভব হবে। এছাড়াও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে আরও প্রায় ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা যাবে। অর্থাৎ ২০২৫ সাল নাগাদ ১৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা হবে। বাংলাদেশের চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বাণিজ্য সচিব বলেন, ১৮৫৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম চা চাষ শুরু হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশে চা চাষের বয়স প্রায় ১৫০ বছর। এক সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের পর চা গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে চা রফতানির পরিমাণ ও চা রফতানি আয় হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে চা চাষের জমির পরিমাণ ৫৯ হাজার ১৮ হেক্টর। আর ২০১৫ সালে হেক্টরপ্রতি গড় চা উৎপাদন ছিল ১ হাজার ২৭০ কেজি। তিনি জানান, এ পর্যন্ত চা শিল্পে প্রায় এক লাখ ৩৩ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢালু জমিতে চা চাষ ছাড়া অন্য কোন ফসল লাভজনক নয়। চা আবাদযোগ্য জমিতে অন্য কোন চাষাবাদ অর্থনৈতিকভাবে লাভজন হয় না বিধায় চা চাষে আমাদের অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। বিদ্যমান ১৬২টি চা বাগানের ভূমিক প্রকৃতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এগুলোর আওতাধীন এক লাখ ১৪ হাজার ৭৮১ হেক্টর জমির মধ্যে মোট চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ৬৪ হাজার ৮৮৬ হেক্টর। এসব জমির ৬০ শতাংশ টিলা এবং ৪০ শতাংশ সমতল। এসব জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ প্রায় ১.৪৭ শতাংশ। এত কম উর্বর জমিতে চা ছাড়া আর কোন ফসল চাষাবাদ করা অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভজনক নয়। এ কারণেই গত প্রায় ১৫০ বছর ধরে এসব জমিতে শুধু চা চাষ করা হচ্ছে। চা উৎপাদন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব বলেন, ১৯৭০ সালে দেশে উৎপাদিত চায়ের পরিমাণ ছিল ৩১.৩৮ মিলিয়ন কেজি। ২০১৫ সালে দেশে চা উৎপাদিত হয়েছে ৬৭.৩৮ মিলিয়ন কেজি। এর মধ্যে ০.৪৯ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি হয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে ১০.৬৮ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ভোগে লেগেছে ৭৭.৫৭ মিলিয়ন কেজি। বর্তমানে দেশে বছরে ৫.২৫ শতাংশ হারে অভ্যন্তরীণ ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পক্ষান্তরে উৎপাদন বাড়ছে ২.৪২ শতাংশ হারে। অভ্যন্তরীণ ভোগের এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালে অভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ মিলিয়ন কেজি। বিপরীতে উৎপাদন দাঁড়াবে ৮৬ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ ৪৪ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি করতে হবে। ফলে উৎপাদন ৫.২৫ শতাংশ হারে বাড়ানো না গেলে প্রতি বছর চা আমদানির পরিমাণ বাড়তে থাকবে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নিম্নমানের চা বাজারে ঢোকার সম্ভাবনা থাকবে। এতে দেশের চা শিল্প ব্যাপক প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে, যা এই শিল্পের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হতে পারে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে আমরা ১০ বছর মেয়াদি একটি পথ নকশা প্রণয়ন করেছি। ‘উন্নয়নের পথ নকশা : বাংলাদেশ চা শিল্প’ শীর্ষক কর্মপরিকল্পনায় ১০টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, প্রতিষ্ঠিত চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের মাধ্যমে ২০২৫ সাল নাগাদ ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ৭২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন। নতুন ১০ হাজার হেক্টর জমি চা আবাদের আওতায় আনা এবং আগের ১০ হাজার হেক্টরে বিদ্যমান অতি বয়স্ক ও অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক গাছ উত্তোলন করে পুনঃরোপণ। হেক্টরপ্রতি জাতীয় গড় উৎপাদন ১ হাজার ২৭০ কেজি থেকে ১ হাজার ৫০০ কেজিতে উন্নীত করা। চা চাষে জমির গড় ব্যবহার ৫১ দশমিক ৪২ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশে উন্নীত করা। অতিরিক্ত উৎপাদিত চা প্রক্রিয়াকরণের জন্য কারখানা সুবিধা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১ হাজার ৮৩৮টি চা প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র সংগ্রহ করা। বিদ্যমান ১৬২টি চা বাগানের ভূমি প্রকৃতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এগুলোর আওতাধীন এক লাখ ১৪ হাজার ৭৮১ হেক্টর জমির মধ্যে মোট চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ৬৪ হাজার ৮৮৬ হেক্টর। এর মধ্যে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৫৯ হাজার ১৮ হেক্টর জমি চা চাষের আওতায় আনা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে অবশিষ্ট ৫ হাজার ৮৬৮ হেক্টর জমি চা চাষের আওতায় আনা হবে। চা নিলাম কেন্দ্র প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি চা নিলাম কেন্দ্র আছে। এটি চট্টগ্রামে অবস্থিত। চা বাগান থেকে প্রথমে চা চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট বন্ডেড ওয়্যার হাউসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নিলাম কেন্দ্রে নমুনা পাঠানো হয়। নিলামের মাধ্যমে চা বিক্রি হওয়ার পর তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হবে না বিদেশে রফতানি হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যদিও দিন দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়ছে। ফলে পারিপাাশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে একাধিক নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়াজন হয়ে পড়ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গলে একটি নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও চায়ের উৎপাদন বাড়ছে। ফলে ভবিষ্যতে উত্তরবঙ্গেও চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ চা শিল্প উন্নয়ন রোডম্যাপে’ পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পায় শ্রীমঙ্গলে এবং ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় পঞ্চগড়ে একটি করে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চায়ের ব্রান্ডিং প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডেড চা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ব্র্যান্ড তৈরি করা সম্ভব হলে তা বিশ্বাবাজারে বাংলাদেশী চায়ের পরিচিতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইতোমধ্যে দেশীয় একটি কোম্পানি তাদের উৎপাদিত অর্গানিক চায়ের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। ওই চা দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড ও শ্রীমঙ্গল টি, সিলেট টি, বান্দরবান টি ও পঞ্চগড় টি নামে ব্র্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এটা করা হলে বাংলাদেশীয় চা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। ক্ষুদ্র চাষিদের ব্যাংক ঋণ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, চা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকারী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কারণ চা বাগান ও কারখানা উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য নিম্ন সুদ হার ও সহজ শর্তে পর্যাপ্ত তহবিল প্রয়োজন। এ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ‘ব্যাংক রেটে’ পুনঃঅর্থায়ন ও সুদ ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। সেই সঙ্গে যেহেতু চা খাতে বিনিয়োগের ৫-৭ বছর পর উৎপাদন পাওয়া যায়, সেহেতু ঋণ প্রদানের প্রথম বছর থেকে সুদ আরোপ করা উচিত নয়। আর এ ক্ষেত্রে অর্থায়নের জন্য কৃষি ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি। চা শিল্পে শ্রমিক স্বল্পতা প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব বলেন, বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম নর্দান বাংলাদেশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে চা চাষ হচ্ছে। সিলেট এবং চট্টগ্রামে প্রায় ১৫০ বছর ধরে চা চাষ চলছে। এসব এলাকায় গত ১৫০ বছরে দক্ষ চা শ্রমিক তৈরি হয়েছে। এ দুটি অঞ্চলের চা বাগানগুলোয় এক লাখ ৩৩ হাজার নিয়মিত চা শ্রমিক রয়েছে, যারা বাসস্থান, রেশন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ যাবতীয় সুবিধা পাচ্ছে। তাছাড়া তাদের পোষ্যসহ লোক সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি। অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে চা শ্রমিক স্বল্পতার কোন সম্ভাবনা নেই। নর্দান বাংলাদেশের ৫টি জেলায় ৯টি চা বাগান আছে এবং ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ গড়ে উঠছে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী এই ৫টি জেলায় চা চাষের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান সদর ও রুমা এলাকায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ হচ্ছে। এসব অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রামে মূলত আদিবাসীরা চা চাষ করছে এবং নিজেদের কাজ নিজেরা করছে বলে শ্রমিক স্বল্পতা তৈরি হচ্ছে না। ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, চা আইনে বর্ণিত সংজ্ঞায় ২০ একরের কম জমিতে চা চাষাবাদ করা হলে তাকে ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যানুসারে ৫ একরের ওপরে এবং ২০ একরের নিচে চা চাষাবাদ হলে তাকে ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ এবং ৫ একরের নিচে হলে তাকে তাকে ক্ষুদ্র চা উৎপাদনকারী বলা হয়েছে। আর ২০ একর বা তার উর্ধে হলে তাকে চা বাগান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পঞ্চগড়ে চা চাষিরা বৈষম্যের শিকার, উৎপাদিত চায়ের মূল্য পায় না, চা কারখানা স্থাপন ইতাদি প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব বলেন, পঞ্চগড়ে চা চাষের উদ্ভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে ওই এলাকার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ টি বোর্ডে ঘন ঘন চেয়ারম্যান পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, টি বোর্ডের কাঠামো আছে। এখানে গত ১৫০ বছরে একটি সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। ফলে চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলে কোন সমস্যা হবে না। তবে এই ঘন ঘন পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে তিনি সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।
×