ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সান্তাহার সফরে প্রধানমন্ত্রী খেলেন টাকি মাছ ও কালো জিরা ভর্তা

প্রকাশিত: ০৩:২০, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সান্তাহার সফরে প্রধানমন্ত্রী খেলেন টাকি মাছ ও কালো জিরা ভর্তা

মো. হারেজুজ্জামান হারেজ, সান্তাহার থেকে ॥ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করলেন দেশের এমনকি দক্ষিন এশিয়ার প্রথম মাল্টিস্টোরিড ওয়ারহাউজ (শীতাতাপ নিয়ন্ত্রীত বহুতল বিশিষ্ট অত্যাধুনিক খাদ্য গুদাম)। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলোর রেস্টহাউজে বিশ্রাম এবং যোহরের নামাজ আদায় করার পর দুপুরের খাবার খান। তাঁর খাবার তালিকায় ছিল ৩২ পদ। প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সান্তাহারে এটি তার প্রথম আগমন। এ কারনে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে তাকে জেলার ঐতিহ্যে আতিথীয়তা করা হয়। তাঁর জন্য প্রস্তুত করা খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাটারিভোগ চালের ভাত, সবজি, মশুর ডাল, সবুজ সালাদ, আলু-করলা ভাজি, টাকি মাছ ভর্তা, আঠালো (ইন্দুরকানি)আলু ভর্তা, কালো জিরা ভর্তা, আচার, দেশী কই মাছ ভুনা, দেশী পাবদা মাছের ঝোল, সিমের বিচি দিয়ে শিং মাছের ঝোল, রুই মাছ ভুনা, কাজলী মাছ, আইড় মাছ, বড় টেংড়া, চিংড়ি ভুনা, দেশী মুরগির মাংশ, খাসির কলিজা ভুনা, কবুতরের মাংশ, কোয়েল পাখির ভুনা, খাশির মাংস ছাড়াও মিষ্টান্নর মধ্যে ছিলো সাদা ও মিষ্টি দই এবং লেঞ্চা মিষ্টি। এছাড়াও বিভিন্ন ফল মূলও ছিল তাঁর খাবারের তালিকায়। এদিকে, বিকালে সান্তাহার স্টেডিয়ামের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সকাল থেকে স্থানীয় এবং বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ এলাকা লাখো মানুষ জনসভায় যোগদান করেন। ফলে স্টেডিয়ামে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। একারনে শহরের অলিগলি ও বিভিন্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলো থেকে দুপুর পৌনে ৩টায় সান্তাহার স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার পুর্বে তিনি হেলিকপ্টার যোগে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলো স্থাপনার অনতিদুরে সান্দিড়া ফুটবল মাঠে অবতরণ করেন। এরপর সড়ক পথে বেলা ১২টা ১০ মিনিটে সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলোতে প্রবেশ করেন। এসময় আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁকে অভিবাদন জানানো হয়। জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত ২৫ হাজার মেট্টিক টনের অত্যাধুনিক এই খাদ্য গুদাম উদ্বোধনের ফলে সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলোর ধারণ ক্ষমতা গম ও চাল মিলে দাঁড়ালো ৫০ হাজার মেট্টিক টনে। এছাড়া ৭০ হাজার মেট্টিক টনের সান্তাহার কেন্দ্রীয় সংরক্ষনাগার (সিএসডি), ১৫ হাজার মেট্টিক টনের সান্তাহার এলএসডি এবং উপজেলা সদর ও উপজেলার নসরতপুর এলএসডি মিলে উপজেলায় মোট প্রায় দেড়লাখ মেট্টিক টনের খাদ্য মজুদাগার হল।
×