ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট অনেক কমে এসেছে: ড. হারুন অর রশিদ

প্রকাশিত: ০৩:১৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট অনেক কমে এসেছে: ড. হারুন অর রশিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট অনেক কমে এসেছে উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেছেন, আগামী ২০১৮ সালের মধ্যভাগ হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষাবর্ষে সেশন জট থাকবে না। রবিবার ঢাকা কমার্স কলেজের ‘সেরা বেসরকারি কলেজ উৎসব ২০১৭’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে একথা বলেন তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সেশন জট অনেকাংশেই কমিয়ে এনেছি এবং পুরোপুরি সেশন জট কমাতে পারবো। বর্তমানে মান সম্মত শিক্ষাকে প্রথম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি। তিনি বলেন, অনেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করেন। আমি তাদেরকে বলবো একবার এই কলেজটির দিকে তাকিয়ে দেখুন। তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন বড় চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় আমরা কাজ করছি। আমরা যতো বিদ্যাই অর্জন করি না কে তা যদি সমাজ, দেশ ও জাতির কোন কাজে না আসে তবে তা নিস্ফল বলেও মনে করেন তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ র্যাং কিং ২০১৫ এ ঢাকা কর্মাস কলেজ জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজ নির্বাচিত হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে চতুর্থ নির্বাচিত হয়েছে। আর সে উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলেজ গভনিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক কাজী মো. নুুরুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যক্ষ মো. আবু সাইদ, উপাধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলামসহ শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারি সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ। অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজের অর্জন গৌরবময়। শীর্ষস্থান অধিকারী কলেজগুলোকে আমরা সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে আমাদের র্যাং কিং কার্যক্রমে সাড়ে ৪ শত কলেজ অংশগ্রহণ করে। বেসরকারি পর্যায়ে ঢাকা কমার্স কালেজ প্রথম স্থান অধিকার করেন। আর সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তারা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। যেখানে দেশের অনেক নামিদামি সরকারি কলেজ এ স্থানে পৌঁছাতে পারেনি। এ সাফল্যে ধরে রাখতে তিনি কলেজের সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে উপাধ্যক্ষ বলেন, ১৯৮৯ সালে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজের এমন অর্জনে আমরা আনন্দিত। ১৯৯৬ এবং ২০০২ সালেও একবার শ্রেষ্ঠ কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল বলেও বক্তব্যে জানানো হয়। তিনি বলেন, র্যাং কিং করলে আমাদের বিশ্বাস প্রতিবছরই আমাদের কলেজ শ্রেষ্ঠ কলেজ হবে। এর আগে বিভিন্ন সেশনের ৬২ জন কৃতি শিক্ষার্থীদেও হাতে ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। এসময় স্বরণীকা ‘প্রদৃপ্ত’ ও কলেজ বার্ষিকী ‘প্রগতি’ মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে আভ্যন্তরীণ সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া পুরস্কার এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, এম.পি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক।
×