ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৭ সদস্য আটক

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বরিশালে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৭ সদস্য আটক

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ অর্থের বিনিময়ে মাদ্রাসার চলমান দাখিল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উত্তরপত্র তৈরি করার সময় হাতেনাতে কেন্দ্র সচিবসহ চারজনকে ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই চক্রের আরও তিন সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায় জেলার বাকেরগঞ্জ পৌর সদরের ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে। আটককৃতরা হলো-কেন্দ্র সচিব শ্যামপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বশির উদ্দিন, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা নুরুজ্জামান, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা আব্দুস ছালাম ও মাওলানা মেহেদী হাসান। অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া জেলা ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন কবির জানান, দাখিল পরীক্ষার শুরু থেকে ওই কেন্দ্রের সচিবের যোগসাজসে একটি প্রতারকচক্র অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উত্তরপত্র তৈরির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করে আসছিলো বলে তাদের কাছে অভিযোগ আসে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবারের ইতিহাস ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষার পূর্বে সকাল সাতটা থেকে ওই কেন্দ্রের পাশ্ববর্তী এলাকায় ডিবি পুলিশ ওৎপেতে থাকে। তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাওলানা নুরুজ্জামান নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক কেন্দ্র থেকে মোটরসাইকেলযোগে বের হয়ে পৌর সদরের ১নং ওয়ার্ডের রুনশী এলাকার অপর মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে যায়। ডিবি পুলিশ তার পিছু নিয়ে ওইবাড়িতে (মোস্তাফিজুর) অভিযান চালিয়ে সোমবারের ইতিহাস ও পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার নৈবেত্তিক ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং একাধিক বই উদ্ধার করেন। এসময় মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের উত্তর মিলানোর কাজে নিয়োজিত কেন্দ্র সচিবসহ ওই চক্রের চার সদস্যকে আটক করে কেন্দ্রে আনা হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্রের প্রশ্নপত্রের সাথে ফাঁস করা উভয় প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে আরও তিনজনের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদেরকেও আটক করা হয়েছে। ডিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জয়নুল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি বড় ধরণের অপরাধ বিধায় বিষয়টি ভ্রাম্যমান আদালতের এখতিয়ারে নেই। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
×