ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামী নির্বাচনে বিএনপি নাকে খত দিয়েই অংশ নেবে

প্রকাশিত: ০১:৩৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আগামী নির্বাচনে বিএনপি নাকে খত দিয়েই অংশ নেবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচন নিয়ে নতুন তত্ত্ব আবিস্কার করেছেন। উনি নির্বাচনের সময় সংবিধান বিরোধী সহায়ক সরকার চান। আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি নাকে খত দিয়েই অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনে না আসলে বিএনপির শুধু নিবন্ধনই বাতিল নয়, মুসলিম লীগের মতো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আন্দোলনের নামে ফের যদি বিএনপি মানুষকে হত্যার চেষ্টা করে, তবে জনগণের গণপিটুনি খেয়ে তারা পাকিস্তানেও পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থেকে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে। হাওয়া ভবনে জঙ্গী মুফতি হান্নানের সঙ্গে তারেক জিয়া বৈঠক করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায়। বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানও বিএনপির সৃষ্টি। পাকিস্তানের নীলনকশা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনা কঠোরহস্তে জঙ্গী-সন্ত্রাস দমন করে দেশকে আবারও উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে নিয়ে এসেছেন। দেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা আজিজ-সাদেক মার্কা নির্বাচন কমিশন করেছিল। আজিজ ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিলেন, আর সাদেক ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিলেন। এখন খালেদা জিয়া নতুন তত্ত্ব আবিস্কার করেছেন। গ্রহণযোগ্য এবং সহায়ক সরকার চান। এ নামের কোন সরকার সংবিধানে নেই। কিন্তু সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে- অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন নয়। শেখ হাসিনার অধিনেই আগামী নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে খালেদা জিয়া এখন আবোলতাবোল বকছেন। বিএনপি নাকে খত দিয়েই আগামী নির্বাচনে আসবে। হুমকি-ধুমকি দিয়ে লাভ হবে না। কেউ না আসলে নির্বাচন বসে থাকবে না, যথাসময়েই নির্বাচন হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে শেখ সেলিম বলেন, এই সেতু নিয়ে খালেদা জিয়া, ড. ইউনুসসহ কিছু সুশিল জড়িত ছিলেন। এই ষড়যন্ত্রের কারছে সরকারের এক ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ বিশ্বব্যাংককে দিতে হবে। আর ষড়যন্ত্রকারীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে কীসের আলোচনা? যারা শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা হতে পারে না। বিএনপি সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন। সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে কেউ আলোচনা করে না। আর বিএনপি যে সন্ত্রাসী দল তা আন্তর্জাতিক আদালতেই প্রমাণ হয়েছে। কানাডার আদালত বলেছে, বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। এই সন্ত্রাসী দলকে বাংলাদেশের মানুষও প্রত্যাখ্যান করেছে এবং করবে। আবার আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি আবারও মানুষ হত্যার চেষ্টা করে তবে জনগণের গণপিটুনিতে তারা পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ারও সুযোগ পাবে না।
×