ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কাঁদলেন খাদিজা

প্রকাশিত: ২২:০৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কাঁদলেন খাদিজা

অনলাইন ডেস্ক ॥ কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। রবিবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন খাদিজা। সাক্ষ্য প্রদানের একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আদালতে তিনি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য আগামী ১ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। এরপর রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করা হবে। আদালত সূত্র জানায়, রবিবার দুপুর ১২টায় সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেন খাদিজা। এ সময় বদরুল উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি কিছু বলার জন্য বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। আদালতে খাদিজা বলেন, গত বছরের ৩ অক্টোবর আনুমানিক বিকাল ৫টার সময় এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে এক বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে আসার সময় বদরুল আমার পথরোধ করেন। তিনি আমার ওপর ধারালো চাপাতি দিয়ে হামলা চালান। আমাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেন। সাক্ষ্য প্রদানের একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন খাদিজা। এ সময় আইনজীবীরা তাকে সান্ত্বনা প্রদান করেন। এরপর খাদিজা বলেন, বদরুল আমাকে অনেকটা প্রতিবন্ধী করে দিয়েছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। বাদীপক্ষের আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা খাদিজাকে ফের প্রশ্ন করেন, আপনি বদরুলের কি ধরনের শাস্তি দেখতে চান? খাদিজা ফের বলেন, আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সাক্ষ্য প্রদান শেষে বদরুলের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান খাদিজাকে জেরা করেন। তিনি খাদিজাকে প্রশ্ন করেন, বদরুলের সঙ্গে আপনার পরিচয় কিভাবে হয়েছিল? প্রত্যুত্তরে খাদিজা বলেন, পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি আমাদের বাড়িতে লজিং মাস্টার ছিলেন। এরপর আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান আদালতে বদরুলের সঙ্গে খাদিজার একটি ছবি প্রদর্শন করেন। এ সময় বাদীপক্ষের এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানান। এর আগে খাদিজাকে হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি বদরুলকে সকাল ১০টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতের কারাগারে আনা হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাভার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে নিজ বাড়ি সিলেটের আউশায় ফিরেন খাদিজা। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
×