ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশু জিহাদের মৃত্যু: ৪ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শিশু জিহাদের মৃত্যু: ৪ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে পরিত্যক্ত পানির পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু মো. জিহাদের মৃত্যুর মামলায় চারজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আজ রবিবার এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস আর হাউসের মালিক আবদুস সালাম, রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর আহমেদ। রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও দীপক কুমার ভৌমিককে খালাস দেওয়া হয়েছে । রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিদের অবহেলার কারণেই শিশু জিহাদের মৃত্যু হয়েছে। রায় শুনে আসামি জাহাঙ্গীর আলম কাঁদতে থাকেন। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার কথা জানিয়েছেন। তবে রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন শিশু জিহাদের বাবা ও এই মামলার বাদী নাসির উদ্দিন ফকির। তিনি বলেন, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। দুজনকে খালাস দেওয়ায় তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন। তিনি আশা করেছিলেন, ছয়জনেরই সর্বোচ্চ সাজা হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে বাসার পাশে পরিত্যক্ত পানির পাম্পের কাছে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে পাম্পের একটি পরিত্যক্ত দেড় ফুট ব্যাসের গভীর পাইপে পড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানেও জিহাদকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরদিন বেলা তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর একদল উদ্যমী তরুণের চেষ্টায় শিশু জিহাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা ও বিপজ্জনকভাবে গভীর পাইপের মুখ খোলা রাখার অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ৪ অক্টোবর ছয়জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় ১১ জন এবং আসামিপক্ষে তিনজন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়েছে।
×