ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় অনির্বাণের একুশে নাট্যমেলা

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চুয়াডাঙ্গায় অনির্বাণের একুশে নাট্যমেলা

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ চুয়াডাঙ্গার নাট্য সংগঠন অনির্বাণ ২৫ বছর পার করে এবার ২৬ বছরে পা দিয়েছে। এ উপলক্ষে সংগঠনের উদ্যোগে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ৮ দিনব্যাপী অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলা। উৎসব শেষ হবে আগামী-২৮ ফেব্রুয়ারি। এবারের মেলা উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ এর সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। ৮ দিনব্যাপী মেলার প্রথম দিন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ প্রভাত ফেরির পর সকালে শিশুদের বর্ণ লিখন, বাক্য লিখন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং সন্ধ্যায় কলকাতার গানের দল আরশীনগর পরিবেশন করে গানের অনুষ্ঠান। প্রতিদিন বিকালে স্কুল ও কলেজের দলীয় পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবারের উৎসবের নতুন সংযোজন। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে শুরু হয়েছে নাট্য প্রদর্শনী। ৭ দিনে দেশের ও দেশের বাইরের ৬ টি দল পরিবেশন করবে ৭টি নাটক। ২২ ফেব্রুয়ারি; অনির্বাণ থিয়েটারের নাটক ‘জিঞ্চুযারা’, ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের নাট্যদল অংকুরনাট্য একাডেমি পরিবেশন করে নাটক ‘গাজী কালু চম্পাবতী’, ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নাট্যদল মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় পরিবেশন করে নাটক ‘নীলাখ্যান’, ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নাট্যদল শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র পরিবেশন মঞ্চস্থ করে নাটক ‘বীরাঙ্গনার বয়ান’। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ূধ পরিবেশন করবে নাটক ‘চক্রব্যুহ’ এবং আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ূধ পরিবেশন করবে নাটক ‘ছৌ ম্যাকবেথ’। উৎসবের শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি ৪ গুণীকে সম্মাননা প্রদান এবং সঙ্গীত আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন আনোয়ার হোসেন জানান, এবারের শিরোনামে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনিভাবে নাট্য মেলার সাজসজ্জা থেকে অনুষ্ঠান ও নাটক সব ক্ষেত্রেই থাকছে একটু নতুন ভাবনা। জানা যায় ১৯৮৩ সাল, দেশ তখন সামরিকজান্তার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ, দর্শনার প্রগতিশীল কিছু যুবকের উদ্যোগে গড়ে ওঠে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অনির্বাণ থিয়েটার। উপস্থাপনের ঢঙে এটি তখন একেবারেই নতুন দর্শনার মানুষের কাছে। ১৯৯০ সালে দেশ যখন আবারও গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে এলো তখন নাটকের ধারায়ও পরিবর্তন শুরু হলো। নাটককে উপজীব্য করেই উৎসবের সকল আয়োজন। দর্শনায় কোন মিলনায়তন না থাকায় সারাবছর জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান কখনও পথে প্রান্তরে, কখনও স্কুল-কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এভাবে কখনও শুধুই নাটক আবার কখনও অনুষ্ঠানের অনুষঙ্গ হিসেবে নাটক প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে অনির্বাণের পথচলা। ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনির্বাণ প্রথম শুরু করে একুশে মেলা ও নাট্য উৎসব। এক সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক নাটক দর্শকের সামনে উপস্থাপনের জন্য মেলার আয়োজন করে।
×