ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিনদিনেই পুনে টেস্টে ৩৩৩ রানের লজ্জার হার বিরাট কোহলিদের!

একযুগ পর ভারতে টেস্ট জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

একযুগ পর ভারতে টেস্ট জিতল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় পর ভারতের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া। বলা ভাল, আকাশে উড়তে থাকা বিরাট কোহলিদের জমিনে নামিয়ে আনল স্টিভেন স্মিথবাহিনী। পুনে টেস্টে স্বাগতিকদের লজ্জায় ডুবিয়ে অসিরা জিতল ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। চার টেস্টের সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০তে। নিজ অঙ্গনে ভারত এতদিন স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে বধ করে এসেছে, এবার সেই স্পিনেই ধরাশায়ী তারা। ৪৪১ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শনিবার তৃতীয়দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭ রানে অলআউট হয় কোহলির দল। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০৫/১০। অস্ট্রেলিয়া ২৬০/১০ ও ২৮৫/১০। এভাবে ‘নাম্বার ওয়ান’ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে দিয়ে অতিথিদের জয়ের নায়ক স্টিভ ও’কেফে। দুই ইনিংসে ৭০ রান দিয়ে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ৩২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। ভারতে অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল সেই ২০০৪ সালের অক্টোবরে, নাগপুরে ৩৪২ রানে। দেশের মাটিতে গত প্রায় পাঁচ বছর হারেনি ভারত। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে টানা ১৯ টেস্টে অপরাজিত কোহলির দল। জয় টানা ছয় সিরিজে। বিপরীতে উপমহাদেশে টানা ৯ টেস্ট হারের দুঃস্বপ্ন নিয়ে এবার ভারতে পাড়ি জমায় স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। পুনে টেস্টে মাত্র তিনদিনেই উল্টে গেল সব সমীকরণ। সময়টা আসলে আরও কম, দুইদিন আর দুই সেশনের একটু বেশি। ৪ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে তৃতীয়দিনের দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। ২৮৫ রানে অলআউট হওয়ার আগে লিডটাকে সাড়ে ৪ শ’র কাছাকাছি নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা স্মিথের। শুরু করেছিলেন ৫৯ রানে, আউট হয়েছেন ১০৯ রানে। আগেরদিন একবার, এদিন আরও দু’বার জীবন পেয়েছেন। একবার ক্যাচটা হাতে জমাতে পারেননি অজিঙ্কা রাহানে, আরেকবার নিশ্চিত এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। ভারতের হাতেও রিভিউও ছিল না। সুযোগটা শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন অতিথি অধিনায়ক। ৫১ টেস্টেই তুলে নিয়েছেন ১৮তম সেঞ্চুরি, নেতৃত্বের ২১ টেস্টে দশম। ভারতের বিপক্ষে টানা পাঁচ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি। সঙ্গে ম্যাট রেনশ’ (৩১), মিচেল মার্শ (৩১), ম্যাথু ওয়েড (২০) ও মিচেল স্টার্কের (৩০) ছোট ইনিংসগুলো অস্ট্রেলিয়ার লিডটাকে (৪৪০) ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়। ঘূর্ণি পিচে কার্যত তখনই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। দেখার ছিল, ভারতীয়রা ব্যবধান কতটা কমাতে পারেন। ফের ও’কেফের স্পিন-বিষে নীল কোহলিরা এবারও প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ। মুরলি বিজয়কে (২) ফিরিয়ে শুরু। অপর ওপেনার লোকেশ রাহুলকে (১০) তুলে নেন নাথান লেয়ন। এরপর টানা ৫ উইকেট ও’কেফের। যার মধ্যে আছেন কোহলিও। ১৩ রান করা অধিনায়ক সোজা বলটা ছেড়ে দিয়ে পরিষ্কার বোল্ড। শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ১৩.১-২-৩৫-৬’-এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ও’কেফের বোলিং ফিগার ১৫-৪-৩৫-৬। ভারতের মাটিতে কোন ভিনদেশী স্পিনারের এটিই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
×