ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় মেডিক্যাল ছাত্রী নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় মেডিক্যাল ছাত্রী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকায় বাসের ধাক্কায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া হাসান খান (২৩) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন তার মা শাহিন সুলতানা। এদিকে সাদিয়া হাসান নিহতের ঘটনায় রায় সাহেব বাজার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ওই মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। শনিবার দুপুর ১টার দিকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ শেষে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধের ফলে আশপাশে ভয়াবহ যানজটে পড়েন যাত্রীরা। সাদিয়ার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে পুলিশের লালবাগ জোনের এডিশাহেন শাহ মাসুদ তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে রায় সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থান নেন। রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকেন। প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এমএ আবুল বাশার বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী বাসচালককে গ্রেফতার করা না হলে আবার সড়ক অবরোধ করা হবে। দুপুর পৌনে ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ছাত্ররা রায় সাহেব বাজার মোড়ে পৌনে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের ফলে এর সংযোগ সড়ক গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, বাবুবাজার যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভয়াবহ যানজট লেগে যায়। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দেড়টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সাদিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, মেডিক্যাল কলেজটির অধ্যক্ষ এমএ আবুল বাশার ও কোতোয়ালি অঞ্চলের পুলিশের এডিসি শাহেন শাহসহ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। জানাজায় এমপি বাদশা বলেন, দ্রুত ঘাতক বাসচালককে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে তার শাস্তি দেয়া হোক। জানা যায়, সাদিয়ার বাবার নাম হাসানুজ্জামান। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। সকালে সাদিয়া ও তার মা ট্রেনে কমলাপুরে নামেন। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে তারা কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন।
×