ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় টিউন অব আর্ট ইন্টারন্যাশনাল শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

 দ্বিতীয় টিউন অব আর্ট ইন্টারন্যাশনাল শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিল্পের মেলবন্ধন তৈরিতে শুরু হলো ‘দ্বিতীয় টিউন অব আর্ট ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭’। এতে বাংলাদেশ, ভারত ও থাইল্যান্ডের চিত্র শিল্পীদের অংশ গ্রহণে এ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ফোকাস বাংলাদেশ। রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শনিবার বিকেলে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও ভারতের চিত্রশিল্পী রজত শুভ্র বন্দোপাধ্যায়। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভারতের চিত্রশিল্পী তপন পাঠক, প্রফেসর রুমানা আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন ফোকাস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ কাওসার হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ভারতের চিত্রশিল্পী তপন কুমার প্রামাণিক, স্বপন সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয় শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও ভারতের শিল্পী রজত শুভ্র বন্দোপাধ্যায়কে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈচিত্র্য নিয়েই জীবন। আর এই বৈচিত্র্যময় সমাজে শিল্পীরা শুধু প্রতিনিধিত্বই করেন না, মানুষের মননেও আনন্দের সঞ্চার ঘটান। আজ ভারত ও বাংলাদেশের যেসব চিত্রশিল্পী এখানে হাজির হয়েছেন, এটা আমাদের অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই জন্য যে, দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ে আপনাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আপনারা শিল্প সৃষ্টি করে আমাদের স্বপ্ন দেখান, পরিচয় করিয়ে দেন হাজার বছরের ফেলে আসা দিনগুলোর সঙ্গে। শিল্পীরা হৃদয়ের কথা শুনে পা ফেলে। চেতনার দিক থেকে শিল্পীরা এগিয়ে। শিল্প সাহিত্যের চর্চাকে আরও বেগবান করা দরকার, যাতে দেশে এক মানবিক সমাজ তৈরি হয়। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তিতে চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, সব সম্মাননাই আনন্দের। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে এ উদ্যোগ যেন চলমান থাকে এই প্রত্যাশাই করি। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতিচর্চা আরও ফলপ্রসূ হবে। আন্তর্জাতিক এ চিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছে ২৫ জন চিত্রশিল্পী, ভারতে থেকে ২০ জন এবং থাইল্যান্ড থেকেও দুইজন শিল্পী রয়েছেন। প্রদর্শনী চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত এবং প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। ইডেন মহিলা কলেজে বার্ষিক সাহিত্য সাংস্কৃতিক সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত ॥ ‘সব ভাষার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমরা অপ্রয়োজনে ইংরেজী ভাষার যে ব্যবহার করছি, এটা আমাদের মানবিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয়। আমরা ক্রমশ প্রতিদিনের জীবন আচরণে বাংলা ভাষা থেকে পিছিয়ে পড়ছি। এ হীনম্মন্যতা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরী। আমাদের দেশে ইংরেজী নিয়ে যে মাতামাতি হচ্ছে তাতে ছেলে-মেয়েরা অর্ধ শিক্ষিত হচ্ছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতিচর্চা করা উচিত। সবাই কবি, সাহিত্যিক বা শিল্পী হতে পারে না। মানবিক সমাজ তৈরি হতে হলে আদর্শ সংস্কৃতিচর্চার প্রয়োজন আছে। আমি মনে করি প্রত্যেকের মধ্যে শক্তি আছে, এটা বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক মুক্তি আনলেই উন্নত সমাজ গঠন হয় না, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক সমাজ গঠনে নিজের শক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত’ ইডেন মহিলা কলেজের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এ কথা বলেন। কলেজ মিলনায়তনে শনিবার সকালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গায়ত্রী চট্টোপাধ্যায়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. শামসুন্নাহার, প্রফেসর তাহমিনা আকতার ও প্রফেসর সাবিহা ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, লেখাপড়ার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চা বজায় রাখবেন। নিজের মননকে উন্নত, দৃষ্টিকে প্রসারিত, সবার মঙ্গল কামনা এবং দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তার প্রতিবাদ করুন। অনেকে উচ্চ শিক্ষা নেয়ার পরও অমানুষ হয়ে যায়। মরে রাখবেন, মানুষ পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য, ধ্বংস করার জন্য নয়। আলোচনার পর অতিথিরা বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। দেশাত্মবোধক ও নজরুলসঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন সুবর্ণা আক্তার হ্যাপি, রবীন্দ্রসঙ্গীতে তাহমিনা ইসলাম, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত ও আধুনিক গানে নিরা সামসাদ, লোকসঙ্গীতে সাকিনা আক্তার রত্মা, সাধারণ নৃত্যে বৃষ্টি ব্যাপারী, লোক নৃত্যে উম্মে হাবিবা ঋতু, বাংলা কবিতা আবৃত্তিতে ঈশিতা দাস পলি, ইংরেজী কবিতা আবৃত্তিতে তাসমিয়া মেহজাবিন, একক অভিনয়ে মালিহা হায়াত, রচনায় শারমিন আক্তার, ধারাবাহিক গল্পবলায় শ্যামলী দাস, উপস্থিত বক্তৃতায় নিশাত আনজুম ও বিতর্কে শাম্মি আরা মিনু। সবশেষে কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
×