ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যেসব কারণে ঢাকা বারে আওয়ামী প্যানেলের ভরাডুবি

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যেসব কারণে ঢাকা বারে আওয়ামী প্যানেলের ভরাডুবি

বিকাশ দত্ত/ সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি ॥ ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৭-১৮ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। জনকণ্ঠের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৭ কারণে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এই ভরাডুবি। এর মধ্যে, আওয়ামীপন্থীদের ওভার কনফিডেন্স (অধিক আত্মবিশ্বাসী), আঞ্চলিক প্রধান্য বিস্তার, আওয়ামীপন্থী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া জটিলতা, অন্তর্কোন্দল, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের প্রসি্িকউটরকে ঠেকানো, পিপি ও জিপিদের না আসা, সর্বোপরি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের মধ্যে প্রকাশ্য বাকবিত-া ও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত প্রচুর অর্থ যোগানই অন্যতম কারণ। ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচেন ২৭ পদের জন্য ১৬ হাজার ১৯৮ ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন মাত্র ৮ হাজার ৯১০ জন। নির্বাচনে ২৭ পদের মধ্যে ট্রেজারারসহ ৬টি পদ পেয়েছেন আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা। অন্যদিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২০ পদেই জয়ী হন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা। সিনিয়র সহসভাপতি পদে সোমবার আবার গণনা হবে। কেন এই হার ? বেশি ভোট থাকা সত্ত্বেও এই ভরাডুবি আওয়ামী লীগ সমর্থিত তরুণ আইনজীবীরা মেনে নিতে পারছে না। নির্বাচনে সাদা প্যানেলের ভরাডুবির জন্য যেমন আইনজীবীগণ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ঝড় উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ঢাকা বারের নেতৃত্ব নেয়ার পরিকল্পনা করে। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচনে জামায়াত প্রচুর অর্থ যোগান দেয়। সেই অর্থে বিএনপি ভোট কেনে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে সমন্ব^য়ের অভাব। এই কারণগুলোর জন্যই এবার সমন্বয় পরিষদ হেরেছে। এদিকে ঢাকা বারের আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে দুটি সুস্পষ্ট ধারা রয়েছে। এর একটি হচ্ছে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। এর নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ। অন্যটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ। এর নেতৃত্বে আছেন সভাপতি পদে এ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান। এ ছাড়াও ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সবকিছু ছাপিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আঞ্চলিকতাবোধ। ঢাকা বারে বর্তমানে বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকাইয়া এবং নোয়াখালী জেলার আইনজীবীদের মধ্যে প্রচ- আঞ্চলিকতাবোধ গড়ে উঠেছে। দলনাশা এই আঞ্চলিকতাবোধের কথা স্বীকার করেছেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের উর্ধতন নেতৃস্থানীয় এবং সিনিয়র বহু আইনজীবী। আওয়ামী লীগ কিংবা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ অথবা আওয়ামী আইনজীবী যুব পরিষদ যে যাই করুক না কেন নির্বাচন এলে সব কিছুর ওপর উঠে আসে সর্বনাশা আঞ্চলিকতাবোধ। এপ্রসঙ্গে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ৮ বারের নির্বাচিত সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমার দৃষ্টিতে এবারের ঢাকা বারের নির্বাচনে দলীয় সমর্থন ও আনুগত্যের চেয়ে আঞ্চলিকতা বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের নেতা ও কর্মীরা যেভাবে নির্বাচনকে সমর্থন যুগিয়েছে এবং এগিয়ে নিয়ে গেছে সেভাবে সাদা প্যানেলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের প্যানেলের জন্য কাজ করতে পারেনি। অন্যদিকে সভাপতি পদে যিনি নির্বাচন করছেন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ছিলেন; সে কারণে হেরেছেন এমন অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন সৈয়দ রেজাউর রহমান। ফেসবুকে অনেক আইনজীবী লিখেছেন, প্রার্থী নির্বাচনে নতুনদের গুরুত্ব না দেয়া, সাংগঠনিক দুর্বলতার মতো কিছু কারণে এই ভরাডুবি হয়েছে। ঢাকা বারের বহুবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী সিনিয়র আইনজীবী নূরুল হুদা তার ফেসবুকের পোস্টে লেখেন, এই ফল কাক্সিক্ষত না হলেও একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল, তা বলা কঠিন। আমাদের সিদ্ধান্তহীনতা ও সমন্বয়ের অনেক ঘাটতি। অহঙ্কারও পতনের অন্যতম কারণ। এত দান, অনুদানের মূল্য কোথায়! আমরা কি রেষারেষিতে নিপতিত থাকব নাকি তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভেদাভেদ পরিহার করব-প্রশ্ন রাখলাম নীতিনির্ধারকদের প্রতি। এ্যাডভোকেট মিরাজ ইসলাম ফেসবুকে লেখেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সাদা প্যানেলের পরাজয় আগেই নির্ধারিত ছিল...সাদার বিরুদ্ধে সাদার জয়...পরাজিত আমরা সাধারণ কর্মী। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিপর্যের অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হলো অন্তর্দ্বন্দ্ব । আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকার কারণেই এই ভরাডুবি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের পরাজয় হতো না। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ অভিযোগ করেছে, অনেক পিপি ও জিপি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। এমনকি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের নেতা বারের সাধারণ সম্পাদক পদে যিনি নির্বাচন করছেন তাকে ভোট প্রদান করেননি। এ প্রসঙ্গে আবু আব্দুল্লাহ বলেছেন, কথাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারাই (বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ) আমাদের ভোট প্রদান করেননি। আর জিপি, পিপি নির্বাচনে আসেনি, প্রচারাভিযান চালাননি এটাও সঠিক নয়। তাদেরও পিপি, জিপি রয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের যে প্যানেল হয়েছিল সেখান থেকে পৃথকভাবে সভাপতি পদে হাবিবুর রহমান নির্বাচন করেছেন। তিনিও ভোট পেয়েছেন। এটা হারার অন্যতম কারণ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রায় হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। সাদা প্যানেলের আব্দুর রহমান হাওলাদার সভাপতি পদে ভোট পেয়েছেন ৩৬৬৪ আর নীল প্যানেলে খোরশেদ আলম পেয়েছেন ৪৮৫৫ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলের আয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ৩৭৭৫ আর নীল প্যানেলে আজিজুল ইসলাম বাচ্চু পেয়েছেন ৪৮৪৯ ভোট। ঢাকা বারের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী সাদা প্যানেলের ভরাডুবির নেপথ্যে আওয়ামী সমর্থক আইনজীবী নেতাদের কোন্দল, উদাসীনতা, অদূরদর্শিতা যেমন ছিল, অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত পন্থীদের ছিল দীর্ঘমেয়াদী নীলনক্সার বাস্তবায়ন। সে প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান মোল্লা বলেন, সবাই ভোট দিলে এমন হতো না। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতাকর্মীরা ভোট দেয়নি। এ ছাড়া যারা পিপি ও জিপি আছেন তারা নির্বাচনে প্রচার চালাননি ও ভোট দিতে আসেননি। পিপি, জিপিরা এলে এমন হতো না। সাধারণ সম্পাদক পদে কম ভোটে হার হয়েছে। ওরা ভোট দিলে হারত না। তিনি আরও বলেন, সভাপতি পদে যিনি নির্বাচন করেছেন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ছিলেন। অনেকেই এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে নির্বাচনে। ওদের আগে থেকেই চিন্তা ছিল যেভাবেই হোক নীল প্যানেলকে জেতাতে হবে। প্রচুর অর্থ খরচ করছে এটা অনুমান করছি। ঢাকা বারের বর্তমান সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক জনকণ্টকে বলেন, নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কি কারণে তা এককথায় বলা মুশকিল। রানিং প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছি। নির্বাচনে আঞ্চলিকতা বিষয়টি উঠে এসেছে। দেখা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহের বেশিরভাগ ভোটার ভোট দিতে আসেননি। এ ছাড়া নির্বাচনে তিনি প্রচার চালাননি সে প্রসঙ্গে সাইদুর রহমান মানিক বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধির পরিবর্তিত হওয়ার কারণে সংবিধান পরিপন্থী কোন কাজ করেননি। বিএনপি নেতা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি সানাউল্লা মিয়া জনকণ্ঠকে বলেছেন, নীল প্যানেলের বিজয়ের একটাই কারণÑনীল প্যানেলের প্রার্থী সাদা প্যানেলের প্রার্থী থেকে অনেক বেশি উপযুক্ত। ওনাকে (নীল প্যানেলে) ভোট দিলে সাধারণ আইনজীবীগণের স্বার্থ রক্ষা হবে। এবং বারের উন্নয়ন হবে। নির্বাচনে বিএনপি অনেক টাকা খরচ করেছে এমন অভিযোগ রয়েছে । সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে নির্বাচনের খরচ বহন করার মতো টাকা ছিল না সেখানে নির্বাচনে টাকা খরচ করার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের উপয্ক্তু মনে করেছে তাই সাধারণ আইনজীবীগণ ভোট প্রদান করেছেন। নবনির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমার এটা ছিল দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন। সাধারণ ভোটারের মনে একটা সিম্পেথি এসেছিল। এ ছাড়া অতীতে সাদা প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণের চেয়ে আমরা বেশি কাজ করব এটা ভেবেই আমাদের ভোট দিয়েছে। ভোটের ফল বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের নীল প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের ফল শুক্রবার শেষরাতে ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এতে ২৭ পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২০ পদেই জয়ী হন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা। এদের মধ্যে ৯ সম্পাদকীয় ও ১২ সদস্য পদ পেয়েছেন তারা। অপরদিকে ট্রেজারারসহ ৬টি পদ পেয়েছেন আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা। এদের মধ্যে ৩টি সম্পাদকীয় ও ৩টি সদস্য পেয়েছেন তারা। সভাপতি খোরশেদ আলম (বিএনপি)Ñভোট ৪৮৫৫ বিপরীতে আবদুর রহমান হাওলাদার ভোট ৩৬৬৪, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বাচ্চু (বিএনপি) ভোট ৪৮৪৯ বিপরীতে আয়ুবুর রহমান ভোট৩৭৭৫,সিঃ সহসভাপতি রুহুল আমিন ভোট ৪৩৫৩ বিপরীতে কাজী শাহানারা ইয়াসমিন ৪৩৫২ রহুল ১ ভোটে জয় রিকাউন্টিং দরখাস্তে স্থগিত (বিএনপি) সহসভাপতি আব্দুল বারেক(বিএন পি) ভোট ৪৫২২বিপরীতে মনজুর আলম মনজু ভোট ৪১৫২, সিঃ সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বিএনপি) ভোট ৪৬৪৫ বিপরীতে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু ৪০৪০,সহসাধারণ সম্পাদক সরোয়ার কায়সার রাহাত (বিএনপি) ভোট ৪৫৪৬ কামাল হোসেন পাটওয়ারী ভোট ৪১৪৩,অফিস সম্পাদক আফানুর রহমান রুবেল (বিএনপি) ভোট ৪৪৪০ বিপরীত আব্দুর রশিদ ৪২৭০ ট্রেজারার হাসিবুর রহমান দিদার (আঃলীগ) ভোট ৪৬০৮ বিপরীতে লুৎফর রহমান আজাদ ভোট-৪১২৬, সাংস্কৃতিক ফারহানা অরেঞ্জ (আঃলীগ) ভোট ৪৬৮২ বিপরীতে শিরীন ৩৯৯৭, লাইব্রেরি আজাদ (বিএনপি) ভোট ৪৮৯৬ বিপরীতে মনিরুজ্জামান মনির ৩৮২৮, ক্রীড়া কাইয়ুম (বিএনপি) ভোট ৪৬৫৭ বিপরীতে শিল্পী ৪০৫৪, সঃকল্যাণ প্রহ্লাদ চন্দ্র পলাশ (আঃ লীগ) ৪৫০৬ বিপরীতে লিটন ৪২৪৮,সদস্য পদে: আবু হেনা (বিএনপি),আল আমিন (আঃ লীগ),কায়েস (আঃ লীগ), মাহমুদুল হাসান অমি (আঃলীগ),মুস্তারী আক্তার নূপুর (বিএনপি), কাঞ্চন (বিএনপি), পান্না চৌধুরী (বিএনপি), তামান্না খানম আইরিন (বিএনপি), মিনারা বেগম রিনা (বিএনপি), আবুল কাসেম (বিএনপি), শহিদুল্লাহ (বিএনপি),অপু (বিএনপি),আরিফ (বিএনপি),শওকত (বিএনপি),মুরাদ (বিএনপি) সিনিয়র সহসভাপতি আবার গণনা হবে।
×