ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোরিয়ান ইপিজেডের শতভাগ জমি প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কোরিয়ান ইপিজেডের শতভাগ জমি প্রস্তুত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে অল্প সময়েই কোরিয়ান ইপিজেডের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে চান ইয়াংওয়ান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং। একটি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এই ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যা এখন নেই। তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে কারখানা স্থাপনের জন্য প্রায় শতভাগ জমি প্রস্তুত। মালিকানার ছাড়পত্র পেলেই, আমন্ত্রণ জানানো হবে, বিদেশী বড় বড় বিনিয়োগকারীদের। এখানে অসীম সম্ভাবনার দুয়ার খোলে প্রতিদিন। ভোরের আবছা আলো ছায়ায় ছুটে চলা রঙিন স্রোতে ঠিকানা পায় রং বেরঙের স্বপ্ন; হেসে ওঠে জীবন ছবিটা। নতুন সুরে কথা বলে ওঠে অর্থনীতির অর্জন। যা প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ে কোরিয়ান ইপিজেডের আড়াই হাজার একর থেকে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কোরিয়ার ইয়াংওয়ান গ্রুপের এই বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলে এরই মধ্যে কাজের সুযোগ হয়েছে ১৭ হাজার মানুষের। বাইশটির মতো কারখানায় তৈরি হচ্ছে নামী দামী সব ব্র্যান্ডের জুতা এবং পোশাক। তবে, ঘাটতি রয়ে গেছে অন্যখানে। তা হলো, অনুমতি পাওয়ার ১৮ বছরেও বিনিয়োগ আসেনি প্রত্যাশা অনুযায়ী। কর্তৃপক্ষ বলছে, কারখানা স্থাপনের জন্য যতটুকু জমি ব্যবহার করা যাবে, তার ৯০ শতাংশই প্রস্তুত। এখন কেবল দরকার মালিকানার ছাড়পত্র। সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে যা অল্প সময়ে অর্জন করতে চান ইয়াংওয়ানের চেয়ারম্যান কিহাক সাং। পরিবেশ রক্ষায় এ পর্যন্ত ২০ লাখ গাছ লাগানো হয়েছে এই অঞ্চলে। পানি ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৭টি কৃত্রিম লেক। কিন্তু পুরো এলাকার শিল্পায়ন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। কথা উঠেছিল, কেইপিজেডের কাছ থেকে জমি ফিরিয়ে নেয়ারও। কিহাক সাংয়ের মতে, সরকারের সঙ্গে এই ইস্যুতে কেবল সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল মাত্র। যা এখন কমে এসেছে। তাই তিনি আশা করেন, এই প্রকল্প শিগগিরই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যোগ করবে নতুন মাত্রা।
×