ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ, সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ, সংঘর্ষ

দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রিটোরিয়া ও জোহানেসবার্গের কিছু এলাকায় নাইজিরিয়ার নাগরিকদের ওপর হামলা এবং সোমালীয়, পাকিস্তানী ও অন্যান্য অভিবাসী মালিকানাধীন দোকানে লুটপাট চালানো হয়। খবর ওয়েবসাইটের। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ রেকর্ডের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিবাসীরা তাদের কাজের ক্ষেত্র কেড়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের কারণে দেশটিতে অপরাধ কর্মকা-ও বেড়ে গেছে। এর জের ধরে শুক্রবার রাজধানীতে অভিবাসনবিরোধীদের একটি দল এবং অভিবাসীদের একটি দল মুখোমুখি অবস্থান নেয়। সশস্ত্র পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নিলেও উভয়পক্ষ পরস্পরবিরোধী সেøাগান দেয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে বাধ্য হয়। লুটপাটের পর প্রিটোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মারাবাসতাদ এলাকার অধিকাংশ দোকান বন্ধ আছে। ওই এলাকার অনেক দোকানের মালিক অভিবাসী। মারাবাসতাদে লুটপাটের প্রতিবাদে অভিবাসীরা সড়কে জড়ো হওয়ায় অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ক্ষুব্ধ অভিবাসীরা জানায়, তারা তাদের সম্পদ রক্ষায় প্রস্তুত আছে। সোমালীয় এক দোকান মালিক বলেন, আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। আমার দোকানে এক বছরে কয়েকবার লুটপাট হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিবাসী মালিকানাধীন দোকানগুলো যৌনকর্মী ও মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩৪ বছর বয়সী স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তিনি একটি উৎপাদন কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু জিম্বাবুইয়ের এক নাগরিক তার তুলনায় কম মজুরিতে ওই কাজ করতে রাজি হওয়ার তিনি চাকরি হারান। বন্দুক হাতে তিনি বলেন, পুলিশের উচিত আমাদের একা ছেড়ে দেয়া, যাতে আমরা তাদের গুলি করতে পারি। দেশটির জাতীয় পুলিশ কমিশনার খোমোতসো ফাহলান বলেন, ক্রমাগত হানাহানি, লুটপাট ও সম্পত্তি বিনষ্ট করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
×