ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিস্ময়কর এক আবিষ্কার তথ্যপ্রযুক্তি, পাল্টেছে জীবনের ধারা

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিস্ময়কর এক আবিষ্কার তথ্যপ্রযুক্তি, পাল্টেছে জীবনের ধারা

ফিরোজ মান্না ॥ তথ্যপ্রযুক্তি দেশে সব ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে মুহূর্তেই মিলছে সব খবর। গড়ে উঠেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল। ফেসবুক, টুইটার, হটসঅ্যাপ ও ইমুর মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম দূরের মানুষকে কাছে নিয়ে এসেছে। অপরিচিত জনকে পরিচিত করছে। তথ্যপ্রযুক্তি এ যুগের এক বিষ্ময়কর আবিষ্কার। বস্তুতপক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এর বিস্ফোরণ ঘটেছে। তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছর তথ্য মন্ত্রণালয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য আবেদন জমা পড়েছে এক হাজার ৭১৭। এই আবেদন সারাদেশে প্রকাশিত মোট দৈনিক পত্রিকার (৫২৭) তিন গুণেরও বেশি। যদিও প্রতিটি দৈনিক পত্রিকাই চলে এসেছে অনলাইন প্রচারে। এই তালিকায় দেশের ৯৩ সাপ্তাহিক পত্রিকাও রয়েছে। ২৩ মাসিক পত্রিকার বেশ কয়েকটি অনলাইনে প্রবেশ করেছে। সংবাদ মাধ্যমের উন্নয়নের পাশাপাশি বিদায়ী বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটা। ঘরে বসেই মানুষ যে কোন পণ্য কিনতে পারছে। একই বছরে তথ্যপ্রযুক্তিতে অর্জিত হয়েছে ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’। গত বছরের শেষদিন অর্জিত হয়েছে ডট বাংলা ডোমেইন। ডট বাংলা ডোমেইন চালুর মাধ্যমে আইসিটি খাতে ব্যবসার আরও প্রসার ঘটবে। বাংলাদেশের জন্য এতদিন আইসিএএনএনের স্বীকৃত ডোমেইন কোড ছিল ডট বিডি (বিডি)। গত ৫ অক্টোবর তার সঙ্গে যুক্ত হয় ডট বাংলা। রাষ্ট্রের জাতীয় পরিচয়ের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে এই ডোমেইন। যেমন ডট ইউকে ডোমেইন নামের কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই বোঝা যাবে সেটি যুক্তরাজ্যের ওয়েবসাইট। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের উন্নয়ন ঘটলেও আইটিইউ (আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন) বিশ্ব সূচকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়ে গেছে। গত বছর তথ্য মন্ত্রণালয় ১৩ বেসরকারী চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। একই বছর ১৪ এফএম রেডিওর লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে এর আগে ১৮ বেসরকারী টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়। সব মিলিয়ে দেশে এখন বেসরকারী টেলিভিশনের সংখ্যা ৪১। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার দশটি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়েছিল। বিটিআরসি সূত্র মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেতারসহ মোট ২৯ প্রতিষ্ঠানকে তথ্য মন্ত্রণালয় লাইসেন্স দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬ প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট তরঙ্গ বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ২৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আটাইশটিই বেসরকারী রেডিও। বাংলাদেশ বেতারকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৬ নির্দিষ্ট তরঙ্গ। এর মধ্যে তিনটি নির্দিষ্ট তরঙ্গ বরাদ্দ রাখা হয়েছে কমিউনিটি রেডিওর জন্য। দুর্যোগের বার্তা পৌঁছে দিতে উপকূলীয় এলাকায় আরও কয়েকটি কমিউনিটি রেডিওর লাইসেন্স দেয়া হতে পারে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. শাহাজান মাহমুদ বলেন, বিটিআরসির অধীনে এত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে যে, এগুলো ঠিকমতো মনিটর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জনবল সংকটের কারণে বড় লাইসেন্সগুলোই মনিটর করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আড়াই হাজারের বেশি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এখন আর বিটিআরসি লাইসেন্স বাড়ানোর পক্ষে না, বরং কিছু লাইসেন্স কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কমিশনে আলোচনা করব। ৫ বছরের জন্য এক হাজার চারটি ভিএসপি লাইসেন্স দেয়া হয়। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বৈধ পথে কল আদান-প্রদান করবে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল এই লাইসেন্সগুলো নানা কারণে কোন কল আনতে পারছে না। আইজিডব্লিউ (ইন্টারনেট গেটওয়ে) লাইসেন্সধারীরাই কল আদান প্রদান করছে। বিটিআরসি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কথা চিন্তা করে ভিএসপি (ভয়েস সার্ভিস প্রোভাইডর) বিভিন্ন আইজিডব্লিউর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এখান থেকে প্রতিমাসে কিছু টাকা ভিএসপি লাইসেন্সধারীরা পাচ্ছেন। এই লাইসেন্সগুলো ৫ বছর পরে বাতিল করে দেয়া হতে পারে। কারণ এগুলো বিটিআরসির জন্য এক ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ডিজিটাল শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল। দেশেও এর দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে। ইন্টারনেটের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের হাতে। বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপশি অনলাইন মিডিয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রিন্ট মিডিয়া যেখানে পৌঁছতে পারছে না অথবা পৌঁছতে অনেক সময়ের প্রয়োজন সেখানে অনলাইনে (মোবাইলে) সে খবর মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে। অনলাইন জাতীয় হোক বা আঞ্চলিক হোক, সব ক্ষেত্রেই অবদান রেখে যাচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে অনলাইন মিডিয়া ছাড়া পশ্চাৎপদ বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে না বলেও মনে করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে এক হাজার ৭১৭ আবেদন জমা দেয়ার আগে থেকেই অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রকাশ হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, অনলাইনে কেনাকাটা। এখন মানুষ ঘরে বসেই যে কোন জিনিস কিনতে পারছে। অনলাইন পাঠক এখন সোশ্যাল মিডিয়াকে খবরের উৎস হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। এদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক হয়ে উঠেছে ফেসবুক। অনলাইন গণমাধ্যম ডিজিটালপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে সরকারের সেবামূলক কার্যক্রম জনগণের মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছে। অনলাইন সাংবাদিকতা নিয়ে বিদায়ী বছরে হয়েছে নানা আলোচনা। তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাতীয় অনলাইন নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত হয় এ বছর। প্রেস ইনস্টিটিউট তাদের সাংবাদিকতার ডিপ্লোমা কোর্সেও অনলাইন সাংবাদিকতার বিষয়টি যুক্ত করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয় অনলাইন সাংবাদিকতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদায়ী বছরে বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া একে ডিজিটাল সাংবাদিকতা বলেছে। মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য বিনিময় হচ্ছে। এই ব্যবস্থা পরিবহন ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ে সহায়ক। শুধু তাই নয়, বড় বড় শহরে জানজট কমাতে তথ্যপ্রযুক্তি ভূমিকা রাখছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তথ্যের স্বচ্ছতা বিধানের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অদক্ষতা নির্ণয় করা সহজ হচ্ছে। বিগত বছর যে হারে প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটেছে তাতে ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশিক্ষিত, সুদক্ষ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত বছর মোবাইল সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন, আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি, আইটি স্ট্রাকচার, ই-গবর্নেন্স, এইচআরডি ল্যাব ও সার্ভিস বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইনোভেশনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং গেমিং শিল্পের জন্য ইকো-সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ইনোভেশন ও এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমিও তৈরি করা হয়েছে। উপজেলা পর্যন্ত ফাইবার অপটিক সংযোগ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সারাদেশে উপজেলা পর্যন্ত ৫৫৪ বিপিও সেন্টার (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে। এর ফলে ৩০ লাখ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। বিচারিক কাজে অন্তত এক শ’টি জায়গায় প্রযুক্তির ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। ইআরপি মাধ্যমে সরকারী অফিসে কম কাগজের ব্যবহার হচ্ছে। সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোক্তার আইটি সেক্টরে অবদান উল্লেখযোগ্য। দেশে প্রথমবারের মতো বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সেবা চালু করেছে। টিভি দেখতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ‘রিয়াল ভিউ’ নামে এই সেবা চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রথম সফল মোবাইল গেম ‘হিরোজ অব ’৭১’ চালু করা হয়েছে। সরকারের অনুরোধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তথ্য দেয়ার বিষয়ে সাড়া দিয়েছে। গবর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্টে ফেসবুক জানিয়েছে, অপরাধবিষয়ক কিছু আবেদনে তারা সাড়া দিয়েছে। প্রতিটি অনুরোধের আইনী বিষয় যাচাই করা হয়েছে এবং কিছু আবেদন নাকচ করা হয়েছে। রাজধানীর কাওরানবাজার জনতা টাওয়ারে দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ‘আইটিইনকিউবেটর’ চালু করা হয়েছে। বিদায়ী বছরে ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট রাজ্যের নিউ হেভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস সম্মিলিতভাবে এই পুরস্কার প্রদান করে। ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গবর্নেন্স এ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট এর আয়োজক ছিল। দেশের স্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন প্রথমবারের মতো বেসরকারী উদ্যোগে ল্যাপটপ বাজারজাত শুরু করে। ইনটেল, মাইক্রোসফট এবং বাংলাদেশের বিজয় বাংলার সহযোগিতায় ওয়ালটন ল্যাপটপ বাজারজাত হচ্ছে। নাগরিক সেবায় ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক ৯৯৯ চালু করা হয়েছে। এই নম্বরে বিনা খরচায় ফোন করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারছে নাগরিকরা। এদিকে, আইটিইউ একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তির অনেক ক্ষেত্রেই বেশ ভাল করেছে বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছে। এরপরও আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন বলছে, এ সংক্রান্ত উন্নয়ন সূচকে বেশ খানিকটা পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ উন্নয়ন সূচকে আগের চেয়ে ভাল করলেও অবস্থান পিছিয়ে গেছে অন্য দেশগুলোর তুলনায়। আইটিইউর সম্প্রতি প্রকাশিত ২০১৬ সালের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছিল। এবার বিশ্বের ১৭৫ দেশের মধ্যে অবস্থান হয়েছে ১৪৫তম। আইটিইউর এ সূচকে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ তিন ধাপ এগিয়েছে। ২০১০ সালে প্রথম সূচকে অবস্থান ছিল ১৪৮তম। আন্তর্জাতিক এ সংস্থা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দেশওয়ারী তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর ‘গ্লোবাল ডেভেলমেন্ট ইনডেক্স’ তৈরি করে। নবেম্বরের শেষ দিকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২ দশমিক ৩৫, যা এর আগের (২০১৫) ছিল ২ দশমিক ২৭। এর আগে ২০১৪ সালে বিশ্বের ১৬৬ দেশের মধ্যে এ অবস্থান ছিল ১৪৫তম। ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন মানদ-ের উন্নতি করায় ২০১৫ সালে বেশ ভাল অগ্রগতি হয়েছিল। ২০১৫ সালের জন্য এ সূচক তৈরিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন তথ্য বিবেচনা করা হয়। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ৮৪ শতাংশ মানুষ এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় থাকলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ। গত বছর যা ছিল ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশ্বে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭২০ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ। সূচকে শীর্ষ ২০-এ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছয়টি দেশ রয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এরপর ক্রমানুসারে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য। সর্বশেষ ১৭৫তম অবস্থানে নাইজার।
×