ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিভৃত গ্রামে অনুসরণীয় উদ্যোগ

আমতলী মডেল স্কুলে পালিত হলো বই পড়া দিবস

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আমতলী মডেল স্কুলে  পালিত হলো বই  পড়া দিবস

সমুদ্র হক ॥ ‘বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস’ বই পড়ার মাধ্যমে বগুড়ার শিবগঞ্জের আমতলী মডেল স্কুলে শুক্রবার সকালে শিশু কিশোরদের বই পড়া দিবসের সূচনা হলো। নিভৃত গ্রামে এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। একুশের মাসকে ঘিরে দেশের আর কোন শহর ও গ্রামে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এমনটি জানা যায়নি। সে হিসেবে এই দৃষ্টান্ত অনুকরণীয়। বগুড়া শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে শিবগঞ্জের আমতলী মডেল স্কুল। প্রতিষ্ঠার পর হতেই পাঠদানের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জ্ঞানের প্রসারে উদ্বুদ্ধ করতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বই পড়ার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। স্কুলে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভাষা সৈনিক বাহাউদ্দিন চৌধুরী পাঠাগার। এই পাঠাগারের উদ্যোগেই স্কুল প্রাঙ্গণে অমর একুশের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষার মাসের শেষ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো বই পড়া দিবস। আয়োজনে ছিল আমতলী মডেল ফাউন্ডেশন। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও বই পড়ায় অনুপ্রেরণা দিতে নিজেই ‘বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস’ বই পড়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন। তিনি ছিলেন এই আয়োজনের প্রধান অতিথি। তিনি বই পড়ার সঙ্গেই ওই স্কুল ও আশপাশের স্কুলের অন্তত ৫শ’ শিক্ষার্থী বই পড়া শুরু করে। এ সময় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বিকেলে বই পড়া শেষে এ বছর বেশি বই পড়ে শ্রেষ্ঠ পাঠকের পুরস্কার পায় আমতলী মডেল স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসফিয়া আফরিন। এর আগে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আমতলী মডেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর লিয়াকত আলী, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, প্রবীণ শিক্ষক শ্রীচরণ ম-ল, স্কুলের নির্বাহী পরিচালক মীর মহরম আলী, প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন, স্কুলের শিক্ষক দুলাল চন্দ্র অধিকারী, আমজাদ হোসেন, আব্দুর রউফ প্রমুখ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বই পড়ে শিশু কিশোররা। বই পড়ে পাঠক-পাঠিকারা নির্দিষ্ট ফরমে সারকথা লিখে জমা দেয় বিচারক ম-লীর কাছে। তিন ক্যাটাগরিতে দেয়া হয় পুরস্কার।
×