ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প প্রশাসনের আশ্বাস

মেক্সিকানদের গণবহিষ্কার করা হবে না

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মেক্সিকানদের গণবহিষ্কার করা হবে না

মার্কিন কর্মকর্তারা মেক্সিকোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছেন, তাদের দেশ গণ হারে মেক্সিকানদের বহিষ্কার করবে না বা অভিবাসীদের বহিষ্কারে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী মন্দ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অঙ্গীকারের বিষয়ে যে উত্তেজনা চলছে তা প্রশমিত করার উদ্যোগে কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। খবর এএফপির। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি জন কেলি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মেক্সিকো সফরে গিয়ে মেক্সিকান মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। মন্ত্রীরা মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য ও অভিবাসী বিষয়ে ট্রাম্পের যুদ্ধবাজ অবস্থানের বিষয়ে উদ্বেগ ও অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুই ভিদেগারে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ক মর্যাদার বিষয়ে মেক্সিকো উদ্বিগ্ন। টিলারসন মেক্সিকো সিটিতে বলেন, এ দুটি শক্তিশালী সার্বভৌম দেশের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু তা খোলাখুলি ও স্পষ্ট আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করাই সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। ট্রাম্প তার নির্বাচন প্রচার অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দু’দেশের সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং মেক্সিকান অভিবাসীদের ধর্ষক ও অপরাধী বলে অভিহিত করে অবমাননা করেছেন দক্ষিণাঞ্চলীয় এ প্রতিবেশী দেশটিকে। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএম) মঙ্গলবার অবৈধ অভিবাসীদের যাদের অনেকেই মেক্সিকান তাদের গ্রেফতার ও বহিষ্কার শুরু করার জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু কেলি বৃহস্পতিবার রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, কোন গণবহিষ্কার হবে না, তার পুনরাবৃত্তি হবে না। অভিবাসন অভিযানে সামরিক শক্তির প্রয়োগ হবে না। এর আগে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বহিষ্কার উদ্যোগকে এক সামরিক উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু পরে তার মুখপাত্র সীন স্পাইসার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, ট্রাম্প ‘সামরিক’ শব্দটি কার্যকর বোঝাতে কেবল এক বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। টিলারসন বলেন, সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের সীমান্তে বাধা দেয়ার জন্য আমাদের অভিন্ন সীমান্ত বরাবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে দুই পক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারে আন্তঃদেশীয় অপরাধ নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট লোকদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে দুটি দেশ। কেলি বলেন, মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী অভিবাসীদের ঠেকাতেও সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করছে দুটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোকে কতটা সাহায্য দিচ্ছে তা নিরূপণের জন্য সরকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এ নির্দেশের উদ্দেশ্য হয়ত মেক্সিকোর ওপর চাপ প্রয়োগ করা। মেক্সিকো এর রফতানির ৮০ শতাংশ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রে।
×