ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ দেশব্যাপী কারা সপ্তাহ

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ দেশব্যাপী কারা সপ্তাহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে ‘বন্দীদের সংশোধন সমাজে পুনর্বাসন’Ñ সেøাগানে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী একযোগে দেশের ৬৮ কারাগারে কারা সপ্তাহ-২০১৭ পালন করতে যাচ্ছে কারা অধিদফতর। ২৬ এপ্রিল বেলা ১১টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য কারা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার উমেশ দত্ত রোডের কারা অধিদফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন এ ঘোষণা দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৩০২ জনের চৌকস কারারক্ষীর একটি দল দিয়ে বিশেষ প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় ২৬ জনের একটি প্রশিক্ষিত ও চৌকস দল অস্ত্রবিহীন শারীরিক কসরত প্রদর্শন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিজন্স স্ট্যাটিস্টিকসের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এ সময় অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান, কারা উপমহাপরিদর্শক (হেডকোয়ার্টার) বজলুর রশিদ, ঢাকা বিভাগের উপকারা মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) সাজাদ হোসেন, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (অর্থ) জহির উদ্দীন বাবরসহ উর্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, কারাবন্দীদের সেবার মান বৃদ্ধি করা, সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা, কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করা, কারা বিভাগ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করা, কারা কর্মচারী ও কারাবন্দীর আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সেতুবন্ধন স্থাপন করা, কারা কর্মচারীদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা, সমাজে অন্যসব শিশুদের মতো কারাগারে আটক মায়ের সঙ্গে শিশুদের স্নেহ, ভালবাসা ও উত্তম শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে কারা বিভাগকে দেশের অন্য যে কোন বিভাগ থেকে পৃথক ও ব্যতিক্রমী বিভাগে পরিণত করতেই এ কারা সপ্তাহ পালন করছে কারা অধিদফতর। সম্মেলনে সৈয়দ উফতেখার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কারাগারে বন্দীরা মোবাইল ফোনে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। শীঘ্রই এ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দীদের ফোনে কথা বলার সুযোগ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রোগামের আওতায় কারাবন্দীদের ফোনে কথা বলা সংক্রান্ত ‘প্রিজন্স লিংক’ প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের পাইলট প্রকল্প শীঘ্রই শুরু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বন্দীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কারা মহাপরিদর্শক সাংবাদিকদের বলেন, বন্দীরা যেন লুকিয়ে মাদকদ্রব্য কারাগারে আনতে না পারে তা ঠেকাতে বডি স্ক্যান মেশিন কেনার পরিকল্পনা চলছে।
×