ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ ১০ মার্চ

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সুপ্রীমকোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ ১০ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য স্থাপনের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তা অপসারণের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। শুক্রবার বাদজুমা চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিমের সভাপতিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ সারাদেশের জেলা সদর ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম থেকে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, যে দেশের ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান সেখানে সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবির ভাস্কর্য স্থাপন করেছে সরকার। বাংলাদেশে ভাস্কর্য স্থাপনের চাহিদা ও সুযোগ কোনটাই নেই। অবিলম্বে এই ভাস্কর্য অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় ইমান, আক্বীদা ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষে ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ঢাকা ঘেরাও করা হবে। বক্তারা আরও বলেন, মসজিদের নগরী ঢাকাকে ভাস্কর্য নগরী বানানো হচ্ছে কার স্বার্থে? দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাস্কর্যের নামে মূর্তি তৈরি করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভাস্কর্য ও অপসংস্কৃতি চর্চা থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের ভাস্কর্য সংস্কৃতি কেন? ভাস্কর্য ও অপসংস্কৃৃতি দুটিই ইসলামবিরোধী। ইসলাম এসেছে মূর্তির পূজার বিরুদ্ধে। বক্তারা আরও বলেন, মহানবী (সা.) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে স্বীকৃত। আমেরিকার সুপ্রীমকোর্টের সামনের ফটকে রাসূল (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে ফলকে নাম আছে। ভারতের সুপ্রীমকোর্টেও আইনপ্রণেতারূপে কোন ভাস্কর্যের অবস্থান নেই। কোন মুসলিম দেশেও এরূপ কোন নজির নেই। তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রীমকোর্টের সামনে কেন ভাস্কর্য থাকবে। সুতরাং সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্র্য অপসারণ করতেই হবে। বিক্ষোভ সমাবেশ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হাজী মুজাম্মেল হক, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা ক্বারী মুবিনুল হক। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা আ.ন.ম আহমদুল্লাহ ও মাওলানা ইউনুস।
×