অনলাইন ডেস্ক॥ সাইবার লড়াইয়ের প্রচেষ্টা চালানোর কথা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তারা এই প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই সোইগু বলেন, রাশিয়ার তথ্য-সেনারা কার্যকর প্রচারণায় জড়িত। তবে তিনি ওই দল ও এর লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র তো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকিংয়ের অভিযোগ করে আসছে। মস্কো বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও এবারই রাশিয়া প্রথমবারের মতো সাইবার লড়াইয়ের প্রচেষ্টা চালানোর কথা স্বীকার করল।
স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বব্যাপী মানুষের মতামত ও মতাদর্শকে প্রভাবিত করতে সম্পদ ব্যয় করে। রাশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে সোইগু বলেন, আমাদের তথ্য সেনারা রয়েছে, যারা সাবেক প্রচারণা-বিরোধী শাখা থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান চাথাম হাউসের বিশেষজ্ঞ কেইর গিলেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর বর্তমান মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ‘সাইবার সৈনিক’ ও হ্যাকারদের তুলনায় রাশিয়ার 'তথ্য যুদ্ধ' কর্মসূচির মাত্রা আরও ব্যাপক।