ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ঢাকার কাছে আরও সময় চেয়েছে দিল্লী

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ঢাকার কাছে আরও সময় চেয়েছে দিল্লী

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তার পানিবণ্টন এবং গঙ্গা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে ঢাকার কাছে আরও সময় চেয়েছে নয়াদিল্লী। এছাড়া নতুন নতুন ক্ষেত্রে কাজ করতে বাংলাদেশ-ভারত দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে ভারত সরকারের মনোভাব তুলে ধরেন। বিশেষ করে তিস্তার পানি ইস্যুতে দিল্লীর বার্তা পৌঁছে দেন তিনি। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা থাকলেও এ বিষয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে সংশ্লিষ্ট করার বাস্তবতা তুলে ধরেন তিনি। এ জন্য দরকার একটু সময়। বৈঠকে আলোচনায় গঙ্গা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করার প্রসঙ্গ উঠে আসে। ওই কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে ড. জয়শঙ্কর ঢাকায় এলেও তার সফরের মূল বিষয় ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ভারত সফরের সময়সূচী এবং আলোচ্য বিষয় ঠিক করা। রাতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সহযোগিতা চুক্তির জন্য সম্মত হয়েছে দুই পররাষ্ট্র সচিব। প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুত ও জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন, সড়ক ও রেলযোগাযোগ উন্নয়নসহ একাধিক খাতের কমবেশি ২০ উন্নয়ন প্রকল্পের একটি তালিকা দিয়েছে ঢাকা। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, নতুন নতুন ক্ষেত্রে কাজ করতে বাংলাদেশ-ভারত দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশকে জানিয়েছেন তারা শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চান। এদিকে ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই পররাষ্ট্র সচিব নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, বিদ্যুত, জ্বলানি, শিপিং, রেলওয়ে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এদিকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর একটি আমন্ত্রণও পৌঁছে দেন ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। এতে আগামী সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন। যা বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো এমন সম্মান জানানো হচ্ছে।
×