ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৪৫ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত

অবকাঠামো উন্নয়নে গতিশীল হচ্ছে পিপিপি

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

অবকাঠামো উন্নয়নে গতিশীল হচ্ছে পিপিপি

এম শাহাজাহান ॥ অবকাঠামো উন্নয়নে গতিশীল হচ্ছে পিপিপি। সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় ৪৫ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ‘নব উদ্যোগ বিনিয়োগ প্রয়াস’ নামে সরকারের এই প্রকল্পে সড়ক, আইসিটি, গৃহায়ণ, নৌ-পরিবহন, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, রেলপথ, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও পর্যটন উন্নয়নসহ মোট ৯ খাত চিহ্নিত করেছে সরকার। এসব খাতে বিদেশীদের পাশাপাশি দেশীয় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন। পিপিপিতে আগ্রহ দেখিয়ে বিনিয়োগ করেছে ওরিয়ন গ্রুপ, ট্রপিক্যাল হোমস ও পাওয়ার প্যাকসহ আর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে চীন, জাপান, কানাডা, থাইল্যান্ড, ভারত এবং কোরিয়ার মতো দেশের উদ্যোক্তারা পিপিপিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পিপিপির আওতায় ইতোমধ্যে তিনটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে আনা হয়েছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নামে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণসহ ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ৮ প্রকল্প প্রকিউরমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে। ১৯ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়াধীন আছে যার মধ্যে ৬টি প্রায় শেষ পর্যায়ে। একই সঙ্গে ১৪ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পিপিপির আওতায় নেয়া ৪৫ প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পিপিপির আওতায় নেয়া বেশকিছু বড় প্রকল্পের সুফল দেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, পিপিপি কর্মসূচী বাস্তবায়নে পিপিপি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পিপিপি আইন-২০১৫ জাতীয় সংসদে পাস করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত গাইড লাইন ২০১৬ জারি করা হয়েছে। পিপিপি উদ্যোগে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে নিবিড় প্রস্তুতি গ্রহণ, কার্যকরভাবে প্রকল্প উন্নয়ন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন, ব্যবস্থাপনা ও তদারকিতে বাস্তবায়নকারী সংস্থার দক্ষতা উন্নয়ন ও পিপিপি সংশ্লিষ্ট জনসচেতনতা সৃষ্টির অভিপ্রায়ে কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে গাইড লাইন ফর পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ টেকনিক্যাল এ্যাসিসট্যান্স ফিন্যান্সসিং পিপিপিটিএএফ-২০১২। এছাড়া ঋণ ও ইক্যুইটি খাতে সহায়তা প্রদানের জন্য স্পেশাল পারপাস ভেহিক্যল (এসপিভি) হিসেবে অথরাইজড ক্যাপিটাল ১০০ বিলিয়ন টাকা ও পেইড-আপ ক্যাপিটাল ১৬ বিলিয়ন টাকা সম্পন্ন বাংলাদেশ ইনফ্রাস্টাকচার ফিন্যান্স ফান্ড লিমিটেড গঠন করা হয়েছে। পিপিপি প্রকল্প উন্নয়ন কারিগরি সহায়তার জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি ঘূর্ণায়মান তহবিল গঠন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এদিকে, বিনিয়োগকারীরা যাতে এসব প্রকল্পে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ পেতে পারেন, সেজন্য বিশেষ কিছু সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে পিপিপি প্রকল্পে কারিগরি সহায়তার বিপরীতে অর্থায়ন, আর্থিক সামর্থ্য ঘাটতির বিপরীতে অর্থায়ন, প্রকল্প কোম্পানিতে ইক্যুইটি ক্রয় বা ঋণের বিপরীতে অর্থায়ন সুবিধা প্রদান, পিপিপি প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত কম্পোন্যান্ট বাস্তবায়নের বিপরীতে অর্থায়ন, পিপিপি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত অন্যকোন কর্মকা-ের বিপরীতে অর্থায়ন এবং মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদান প্রভৃতি। জানা গেছে, পিপিপির আওতায় নেয়া প্রকল্পের মধ্যে ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভার চালু ও ঢাকার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে পিপিপির মাধ্যমে কিডনি ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে সেবা প্রদান শুরু করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস কেন্দ্র শীঘ্রই চালু করা হবে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত করা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে রূপকল্প-২১ বাস্তবায়নের অভিপ্রায়ে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারী খাতকে সম্পৃক্ত করার জন্য পিপিপি বাস্তবায়নের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পিপিপি কর্তৃপক্ষের অধীন এ যাবত মোট ৪৫ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রকল্প ঢাকা-চট্টগ্রাম এ্যাকসেস কন্ট্রোল হাইওয়ে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে গতিশীলতা এসেছে। আট প্রকল্প প্রকিউরমেন্ট পর্যায়ে ॥ বর্তমানে ঢাকা বাইপাস ৪ লেন সড়ক, কক্সবাজার এন্টারটেইনমেন্ট ভিলেজ, শ্রীমঙ্গলে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অবসর প্রকল্প, মিরপুর-৯ এ জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের মাধ্যমে স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ, ঢাকা থেকে ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণসহ মোট আট প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আফসার এইচ উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, পিপিপিতে নেয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এসব প্রকল্পে দেশীয় উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করছেন। এর ফলে পিপিপি গতিশীল হচ্ছে। তিনি বলেন, তিনটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে আনা হয়েছে। আশা করছি, অন্যান্য প্রকল্পের কাজও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে আনা সম্ভব হবে। জানা গেছে, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে ‘নব উদ্যোগ বিনিয়োগ প্রয়াস’ নামে পিপিপি উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে পাবলিক এ্যান্ড প্রাইভেট পার্টনারশিপ-পিপিপির আওতায় ৪২ প্রকল্প নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় পাটুরিয়া-গোয়ালন্দে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, শান্তিনগর-মাওয়া ফ্লাইওভার, আনোয়ারা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস ভবন নির্মাণের মতো প্রকল্পগুলো রাখা হয়েছে। এছাড়া পিপিপির আওতায় পরিবহন খাতে ১৬, অর্থনৈতিক অঞ্চল ৮, পর্যটন শিল্পে ৪, স্বাস্থ্য খাতে ৮, আবাসন খাতে ৫ এবং শক্তি খাতে ১ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, পিপিপি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব ব্যবস্থা। এতে জনগণকে সেবা দেয়ার উদ্দেশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাত বিনিয়োগ করে থাকে। সরকারের সঙ্গে বেসরকারী খাতের চুক্তি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় স্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন বা নির্মাণ এ পদ্ধতিতে হয়েছে। তিনি বলেন, পিপিপি ধীর গতিতে এগোচ্ছে এ ধরনের কথা ঠিক নয়। বেসরকারী খাত কোনভাবেই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকারের কিছু পদক্ষেপ থাকে। আর এসব ঠিক করতেই সময় লাগে ১৮ মাস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পিপিপি সমান গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যেসব প্রকল্প হবে ॥ পিপিপি প্রকল্পের মধ্যে পরিবহন খাতে রয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (চুক্তি স্বাক্ষরিত), মংলা বন্দরে ২টি জেটি নির্মাণ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মাল্টিমোড সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন, ঢাকা বাইপাস চার লেনে উন্নীতকরণ, শান্তিনগর-মাওয়া ফ্লাইওভার নির্মাণ, হেমায়েতপুর মানিকগঞ্জ পিপিপি সড়ক নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম এ্যাকসেস কন্ট্রোল হাইওয়ে নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু ব্রিজে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ, ফুলছড়ি বাহাদুরাবাদ মিটার গেজ রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণ, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, যাত্রাবাড়ী-সুলতানা কামাল ব্রিজ তারাবো পিপিপি রোড নির্মাণ, লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ, খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালন, ধীরাশ্রম রেল স্টেশনে নতুন আইসিডি নির্মাণ, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প। অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক নির্মাণ (২টি চুক্তি), মংলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, মহাখালীতে আইটি ভিলেজ নির্মাণ, মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল-২, শেরপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩, আনোয়ারা-চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল-৫, সিরাজগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল-১ এবং সিলেটে হাইটেক পার্ক নির্মাণ। পর্যটন খাতের মধ্যে রয়েছে, কক্সবাজার পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র উন্নয়ন, জাকির হোসেন রোড চট্টগ্রামে পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ, কক্সবাজারে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ (মোটেল উপল) এবং সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন প্রতিষ্ঠা। স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোর মাধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালিসিস সেন্টার স্থাপন, জাতীয় কিডনি ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে কিডনি ডায়ালিসিস সেন্টার স্থাপন, বয়স্ক নাগরিকদের জন্যস্বাস্থ্য ও হাসপিটালিটি কমপ্লেক্স নির্মাণ, সৈয়দপুরে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও রেলওয়ে হাসপাতাল আধুনিকীকরণ, খুলনায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণ, কমলাপুরে মেডিক্যাল কলেজ ও রেলওয়ে হাসপাতাল আধুনিকীকরণ এবং চট্টগ্রামে সিআরবিতে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও রেলওয়ে হাসপাতাল আধুনিকীকরণ। আবাসন খাতের মধ্যে রয়েছে, মিরপুরে এনইএচএ হাউজিং স্যাটেলাইট টাউন নির্মাণ, বাসস ভবন নির্মাণ, কুমিল্লার রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে হোটেল কাম গেস্ট হাউস ও শপিংমল নির্মাণ, খুলনায় রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে হোটেল কাম গেস্ট হাউস ও শপিংমল নির্মাণ এবং শক্তি খাতে চট্টগ্রামের কুমিরাতে এলএনজি বটলিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে। উদ্যোক্তারা যা ভাবছেন ॥ পিপিপির মাধ্যমে অবকাঠামো খাতে অধিক উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছেন দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, প্রথম দিকে যে রকম প্রত্যাশা করা হয়েছিল পিপিপি থেকে আসলে সে রকম সাফল্য আসেনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগে এখন পিপিপি গতিশীল হচ্ছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারকে পিপিপির সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ও প্রতি বাজেটে বরাদ্দের ধারাবাহিকতা থাকলে পিপিপি গতিশীলতা পাবে। তিনি বলেন, পিপিপিতে নেয়া ৪৫ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে রূপকল্প-২১ বাস্তবায়নের পাশাপাশি উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। তবে এ প্রকল্পে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ঝুঁকি বেশি সেখানে বিনিয়োগকারীরা আসতে চায় না। এক্ষেত্রে সরকার যদি কিছু ঝুঁকি শেয়ার করে তাহলে আমার মনে হয় বিনিয়োগ আসবে। ইতোমধ্যে সরকার ঝুঁকি হ্রাসে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। পিপিপি প্রকল্পে কর প্রণোদনা ॥ সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণে বেসরকারী খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কর প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। আর কর অব্যাহতি দিয়ে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সংস্থা পিপিপি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের কাছে এ প্রণোদনা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পিপিপি প্রকল্প থেকে যে আয় হবে, তার ওপর কর প্রণোদনা দরকার।
×