ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৫৭তম জন্মদিনে ঘোষণা

জাপানের নয়া সম্রাট হতে প্রস্তুত যুবরাজ নারুহিতো

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জাপানের নয়া সম্রাট হতে প্রস্তুত যুবরাজ নারুহিতো

জাপানের যুবরাজ নারুহিতো তার পিতা আকিহিতোর প্রত্যাশিত সিংহাসন ত্যাগের পর দেশের সম্রাট হতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি তার ৫৭তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। ৮৩ বছর বয়স্ক আকিহিতোকে কিভাবে অবসর দেয়া যেতে পারে, তা নিয়ে এক সরকারী প্যানেলে বিতর্ক চলছে। এর আগে আগস্ট মাসে তিনি বলেন যে, তার বয়স তার জন্য দায়িত্ব পালন করা কঠিন করে তুলতে পারে বলে তিনি শঙ্কিত। তার হৃদপি-ের অস্ত্রোপচার ও প্রস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। জাপানে সর্বশেষ ১৮১৭ সালে এক সম্রাট সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন এবং বর্তমান আইনে এর অনুমতি নেই। ২০১৯-এর ১ জানুয়ারি আকিহিতো যাতে সিংহাসন ত্যাগ এবং নারুহিতো যাতে সিংহাসনে আরোহন করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে জাপান সরকার কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে। সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সিংহাসন পরিত্যাগ সংক্রান্ত এক বিশেষ আইন পার্লামেন্টে পেশ করতে পারে। নারুহিতো সাংবাদিকদের বলেন যে, যখন আকিহিতো সিংহাসন ছাড়তে চান বলে জানালেন, তখন তিনি ‘গভীরভাবে বিচলিত’ বোধ করেছিলেন। নারুহিতো বলেন, আমি সম্রাটের ধ্যানধারণাকে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করি। আমি যখন আমার কর্তব্য পালন করব, তখন তা সব সময়েই মনে রাখব। তিনি আকিহিতোর পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাবেন বলেও জানান। আকিহিতো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত উপশমের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। জাপান তার পিতা সম্রাট হিরোহিতোর নামে ওই যুদ্ধ চালিয়েছিল। নারুহিতো বলেন, জাপানের রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতীক হিসেবে আমি তাদের সুখের জন্য প্রার্থনা করে তাদের দুঃখ-আনন্দের ভাগী হব। যুবরাজের ১৫ বছরের এক কন্যা রয়েছে। তার নাম আইকো। তার সিংহাসনে আরোহণের অনুমতি নেই, কারণ সিংহাসনের প্রতি নারীর উত্তরাধিকার অনুমোদিত নয়। নারুহিতোর উত্তরাধিকারী হবেন তার ভাই প্রিন্স আকিশিনো এবং আকিশিনোর পুত্র হিসোহিতো (১০)। যুবরাজ সাবেক কূটনীতিক মাসাকো ওয়াদাকে বিবাহ করেন। রাজপরিবারের এক মুখপাত্র বলেন, আইকোর স্বাস্থ্য সম্পর্কে ঘোষণা করার মতো বিশেষ কিছু নেই। কিন্তু গত শরতকালে আইকো প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে যুবরাজ বিচলিত হয়ে পড়েন। নারুহিতো বলেন, আইকো কিছু সময় অসুস্থ ছিলেন এবং এটি কিছুটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়, কিন্তু তার মার সহায়তার ফলে সে এখন স্বাভাবিক স্কুল জীবনে ফিরে গেছে।
×