ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবিষ্কৃত হতে পারে সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব

পৃথিবী সদৃশ সাত গ্রহের সন্ধান

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পৃথিবী সদৃশ সাত গ্রহের সন্ধান

সৌর জগতের কাছে পৃথিবীর মতো সাতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এই আবিষ্কারের খবর বুধবার ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত হয়। ওয়াশিংটনে নাসাও সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছে। তাদের এই আবিষ্কার অদূর ভবিষ্যতে সৌর জগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণার কাজে ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেছেন। খবর এএফপি, বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ান অনলাইনের। নাসা জানিয়েছে, নব আবিষ্কৃত গ্রহগুলো সৌরজগতের কাছে একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় রয়েছে। নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন্য উপযুক্ত। গবেষক দলের প্রধান বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো একই নক্ষত্র ঘিরে এত গ্রহ পাওয়া গেছে। অতি শীতল ক্ষুদ্রাকৃতির ওই নক্ষত্রের নাম দেয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গঠনের এবং সেগুলো বৃহস্পতির মতো গ্যাসীয় নয়, বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে। টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি নামের তিনটি গ্রহ বাসযোগ্য এলাকায় এবং সেগুলোতে মহাসাগরও থাকতে পারে। বাসযোগ্য এলাকা বলতে গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে। গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবে সঠিক এটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রীন হাউজ গ্যাসসহ এটা প্রাণের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, ‘আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি। আমি মনে করি এর আগে কখনও আমাদের এমন কোন গ্রহ আবিষ্কারের ছিল না যেখানে প্রাণ আছে কিনা তা খুঁজে দেখার মতো। এখানে যদি কোন প্রাণের অস্তিত্ব থাকে এবং গ্যাস নিঃসরণ করে, যেমনটি আমরা পৃথিবীতে করি, তাহলে আমরা তা জানব।’
×