ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল রেলের ১১০ স্টেশন বন্ধ

প্রকাশিত: ০১:০০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল রেলের ১১০ স্টেশন বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ জনবল সংকটের কারণে দেশের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল রেলের ১১০ টি স্টেশন বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ৫৪ টি স্টেশন বন্ধ থাকায় মাসে প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা । পূর্বাঞ্চল রেলের ৫৬ টি স্টেশন বন্ধ থাকায় মাসে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। জনসংখ্যার চাপে সড়ক পথে যানজট ও নিরাপত্তার অভাবে যখন যাত্রীরা ট্রেনমুখি তখন জনবল সংকট মোকাবেলার মাধ্যমে বন্ধ স্টেশনগলো চালু না করা খুবই দুঃখ জনক। রেলের বিভিন্ন সুত্রমতে,২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলে পর্যায়ক্রমে ৫৪ টি এবং পূর্বাঞ্চলের ৫৬ টি স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সংশ্লিষ্ট স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী ও যাত্রীসহ বিভিন্ন মহর ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। একই সাথে রেলের আয় কমে যায় এবং বিভিন্ন আন্ত ঃ নগর ট্রেনের ক্রসিংয়ের দুরত্ব বেড়ে যাত্রী ভোগান্তি ও নানা ভাবে খরচ বৃদ্ধিসহ আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে। দেশে জনসংখ্যার চাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়িঘর,শিল্প কারখানা,রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা কারণে জায়গা কমে যাচ্ছে। প্রয়োজন ঠেকাতে বাস ট্রাকসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনও বাড়ছে। ফলে সড়ক পথে যানজটও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়ক দূর্ঘটনাও বাড়ছে । এ কারণে মানুষ ব্যয় সংকোচন,আরামদায়ক ভ্রমন ও নিরাপত্তা জনিত কারণে মানুষ ক্রমান্বয়ে ট্রেন মুখী হয়ে পড়ছে। মানুষ ট্রেনে ভ্রমন করতে চাচ্ছে । কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ মানুষের সে চাহিদা সম্পূর্ণ পুরণ করতে পারছেনা। বন্ধ স্টেশন গুলো চালুর জন্য প্রয়োজনীয় জনবল সৃষ্টি করতেও পারেনি। ফলে বন্ধ স্টেশনের কারণে সৃষ্ট লোকসান ও জন দুর্ভোগও লাঘব করতে পারছেনা। এ অবস্থায় রেলের লোকসানের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও ডিজি আমজাদ হোসেন ও পশ্চিমাঞ্চলের জিএম খায়রুল আলমের কড়া নির্দেশ ও প্রচেষ্টায় গত অর্থ বছরে শুধু পশ্চিমাঞ্চল রেলের ২৭৬ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। স্টেশন গুলো চালু থাকলে আয়ের পরিমাণ আরও অনেক বৃদ্ধি করা সম্ভব ছিল বলে রেলের একাধিক দায়িত্বশীল সুত্র দাবি করেছে।
×