ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সব শিল্প ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা হবে ॥ সংসদে শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সব শিল্প ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা হবে ॥ সংসদে শিল্পমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করার জন্য শহরের মধ্যে হতে সকল প্রকার কল-কারখানা শহরের বাইরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর আওতায় সাভারে ১৯৯ দশমিক ৪০ একর জমির উপর অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, ঢাকার মেট্রোপলিটন আবাসিক এলাকা বিশেষ করের পুরনো ঢাকার ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হতে কেমিক্যাল মজুদাগার/ কারখানা দ্রুত সরানোর জন্য বিসিকের আওতায় কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন সোনাগান্ধা মৌজায় কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী সাভার শিল্পনগরীর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, হাজারীবাগে অপরিকল্পিত, দীর্ঘদিনের পুরনো, অবিন্যস্ত ও দূষিত পরিবেশে বিদ্যমান ১৫৫টি ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে উক্ত শিল্পনগরীতে ২০৫টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বাকিগুলো নির্মাণাধীন পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, হাজারীবাগ হতে চামড়া শিল্পনগরীতে চামড়া কারখান স্থানান্তর করা হলে কাঁচা চামড়ার দর বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদন সম্ভব হবে এবং রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকারি দলের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাজারের কিছু নি¤œমানের মিনারেল ওয়াটার রয়েছে। তবে নিন্মমানের মিনারেল ওয়াটারে বাজার সয়লাব হওয়ার বিষয়টি যথাযথ নয়। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার লোভে অবৈধভাবে নিন্মমানের ড্রিংকিং ওয়াটার বাজারজাত করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই, আইনশৃংখলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আমির হোসেন আমু জানান, শিল্পায়নের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং জনগণের আয় ও জীবনযাত্রার টেকসই উন্নয়নকল্পে জাতীয় শিল্পনীতি ২০১০ যুগোপযোগী করে জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিল্প ও বিনিয়োগ নীতিমালাকে উদার করা হয়েছে। এ নীতিমালার আলোকে বিভিন্ন সুবিধাদি দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
×