ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘুষ-কাণ্ডে ধৃত বিডিও

প্রকাশিত: ১৯:২০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঘুষ-কাণ্ডে ধৃত বিডিও

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিডিও হিসাবে তাঁর প্রথম পোস্টিং ছিল বান্দোয়ান। দায়িত্ব নেওয়ার ৫ মাসের মধ্যেই সেই বিডিও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন শাখার হাতে ধরা পড়েছেন জেনে অবাক নন ওই ব্লকের ঠিকাদারদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এ হওয়ারই ছিল! মঙ্গলবার ব্লক অফিসে বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাসের ঘরে ঢোকেন কলকাতার এক ঠিকাদার। ঠিকাদারের ‘বন্ধু’ সেজে দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরাও ঢোকেন চেম্বারে। ঠিকাদারের ‘বিল পাস’ করার জন্য ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যান ওই বিডিও বলে দাবি করেছে দুর্নীতি দমন শাখা। তাদের আরও দাবি, বিডিও-র আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা এবং রানাঘাটের নোকারিতে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে বিভিন্ন আর্থিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ দিন ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করানো হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, আরও কিছু নথির খোঁজে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বিচারক সুদীপ্তকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্ত ব্লক বান্দোয়ানের গুরুড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগারতৈরির কাজ করেছেন কলকাতার বাসিন্দা, ঠিকাদার সত্যেঞ্জয় মণ্ডল। সোমবার দুর্নীতি দমন শাখায় গিয়ে তিনি অভিযোগে জানান, ৬৫টি শৌচাগার তৈরি বাবদ চলতি জানুয়ারিতে ব্লক অফিসে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকার বিল তিনি জমা দেন। কিন্তু, বিডিও জানান, টাকা না পেলে তিনি বিলের চেক ছাড়বেন না। ঠিকাদারের দাবি, গত দশ দিনে ৩ বার তিনি বান্দোয়ানে গিয়ে বিডিও-র সঙ্গে দর কষাকষি করেন। শেষে রফা হয়, শৌচাগার পিছু ১৪০০ টাকা হিসেবে ৯১ হাজার টাকা দিতে হবে। মঙ্গলবার সেই টাকা দেওয়ার দিন ঠিক হয়েছিল। দুর্নীতি দমন শাখার পরামর্শে রাসায়নিক মেশানো টাকা নিয়ে ওই ঠিকাদার মঙ্গলবার বান্দোয়ানে যান। সঙ্গে ছিলেন দুর্নীতি দমন শাখার দুই অফিসার। বাইরে ছিলেন ওই শাখার ছয় কর্মী। অভিযোগ, সত্যেঞ্জয়বাবুর কাছ থেকে বিডিও সেই টাকা নিতেই ২ অফিসার পরিচয়পত্র বের করে তাঁর হাত চেপে ধরেন। এর পরে বিডিওকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা জেরা করা হয়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×