ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ও উত্তর পূর্ব ভারত ঐতিহাসিকভাবেই উপ-আঞ্চলিক অর্থনীতির অংশ ॥ শ্রিংলা

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বাংলাদেশ ও উত্তর পূর্ব ভারত ঐতিহাসিকভাবেই উপ-আঞ্চলিক অর্থনীতির অংশ ॥ শ্রিংলা

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিবেশী রাজ্যগুলো ঐতিহাসিকভাবেই একটি উপ-আঞ্চলিক অর্থনীতির অংশ হয়ে রয়েছে। আমরা উপ-আঞ্চলিক অর্থনীতি বিকাশে আন্তঃযোগাযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা করছি। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি নিয়ে গভীর আলোচনা’-শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের নর্থ-ইস্ট ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলোর মধ্যে উদ্যানবিদ্যা এবং পর্যটন খাত বিকাশই এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, আসাম রাজ্যের উদ্যানবিদ্যা বিভাগের পরিচালক পি কে হাজারিকা, মিজোরাম রাজ্যের উদ্যানবিদ্যা বিভাগে উপপরিচালক এইচ মনথোইঙ্গা, মনিপুর রাজ্যের পর্যটন বিভাগের ব্যবস্থাপক দিমিত্রি লাইশরাম, নর্থ-ইস্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ভানু প্রতাপ সিং। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন খাতে আন্তঃসীমান্ত চেইন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এই চেইনের অন্যন্য উদাহরণ হলোÑ লাফার্জ সুরমা সিমেন্টে কারখানা। এই কারখানাটি মেঘালয়ের ওপার থেকে বেল্টের মাধ্যমে চুনাপাথর আমদানি করে। তিনি বলেন, উদ্যানবিদ্যা খাত ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বিকাশে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে উদ্যান খাত বিশেষ করে কলা, আনারস, কমলালেবু, লিচু, আপেল, কাজু বাদাম, আদা, চা ফুল ইত্যাদি বাংলাদেশের কোম্পানি প্রক্রিয়াজাত করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাজারে বিক্রি করতে পারে। এই খাতে সেখানে বিনিয়োগেরও বিশাল সুযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানির উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই কোম্পানিটি ত্রিপুরাতে ইতোমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে। তারা (প্রাণ) উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে খুবই ভালো করছে। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্যে বন্যপ্রাণী ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে। সে কারণে সেখানে পর্যটন খাত বিকাশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। ভারতের আসাম, মনিপুর, মেঘালয় ও মিজোরামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। আর বাংলাদেশের প্রায় ৬০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
×