ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মান্দায় আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে দোয়া করলেন জামায়াত নেতা

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মান্দায় আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে দোয়া করলেন জামায়াত নেতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২২ ফেব্রুয়ারি ॥ অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতাকে আমন্ত্রণ এবং ওই জামায়াত নেতাকে দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার করানোর বিষয়টি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ঘটনায় আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তারা এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমদাদুল হক ও তার পৃষ্ঠপোষক স্থানীয় এমপি সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিককে দায়ী করেছেন। মোল্লা এমদাদুল হক মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও তিনি যে একজন স্বাধীনতার বিপক্ষের ঘরনার মানুষ, তা শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে জামায়াত নেতাকে প্রকাশ্যে বুকে টেনে নিয়ে তাকে দিয়ে দোয়া-খায়ের করিয়ে নেয়ায় তিনি তা আবারও প্রমাণ করে দিলেন। ঠিক এমনই কথা-বার্তা এলাকার সর্বস্তরের মানুষের এখন মুখে মুখে ফিরছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মান্দার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতি তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরম ঘৃণা প্রকাশ করে। জানা গেছে, ঘটনার রাতে শহীদ মিনারে উপজেলা পরিষদের ফুল দেয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ঠিক এমন সময় মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমদাদুল হক পাশেই উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আব্দুর রশীদকে বুকে টেনে নিয়ে তাকে বেদিতে তোলেন এবং এবং শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় তাকে দিয়ে মোনাজাত করিয়ে নেন। শুধু তাই নয়। ওই অনুষ্ঠানে তিনি জাতির জনকের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মারও শান্তি কামনা করার নির্দেশ দেন তাকে। যদিও জামায়াত নেতা আব্দুর রশীদ জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করে দোয়া করেননি। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স ম জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ করে যাব। দিবসের প্রথম প্রহরে আওয়ামী লীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুলের তোড়া অর্পণ করি। মোনাজাতের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমদাদুল হক হঠাৎ করে উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম থাকা সত্ত্বেও, জামায়াতের নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের হাত ধরে তাকে মোনাজাত করতে বলেন। এ সময় আমিসহ দলের নেতাকর্মীরা বিস্মিত ও কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়ি। অনেক মুক্তিযোদ্ধা মোনাজাত ছেড়ে চলে যান।
×