ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মণিরামপুরে ধর্ষকের বাবা মাসহ আটক চার

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মণিরামপুরে ধর্ষকের বাবা মাসহ আটক চার

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মণিরামপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তিন ধর্ষকের বাবা-মাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ধর্ষকদের গ্রেফতার, শাস্তি, ও থানা-পুলিশ ধর্ষণের মামলা না নেয়ায় ভিকটিম এবং তার বাবা-মাকে মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেছেন। দেখা করার বিষয়টি ভিকটিমের বাবা নিশ্চিত করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর ওই রাতেই আসামি গ্রেফতারে মণিরামপুর থানা-পুলিশ ধর্ষকদের বাড়িতে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। আসামিদের না পেলেও ধর্ষণ পরবর্তী ঘটনায় সন্তানদের সহযোগিতার অভিযোগে ধর্ষকদের বাবা-মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ মূল আসামি হানুয়ার গ্রামের রুমানের মা পুলিশ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মাহিনুর বেগম, রয়েলের বাবা মনোহরপুর গ্রামের আজিজুর রহমান ও মা শাহানারা বেহম এবং একই গ্রামের রুবেলের মা ঝর্ণা খাতুন। জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি রুমান, রুবেল ও রয়েল স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নলতা গ্রামের কথিত কবিরাজ সাখাওয়াতের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিওফুটেজ ধারণ করে। সেখানে স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আয়েন উদ্দিনকে খবর দিলে পুলিশ ওই কবিরাজের বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের অভিযানের সময় ধর্ষকরা কবিরাজের বাড়িতে অবস্থান করলেও মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে তাদের আটক না করে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। এরপর এসআই আয়েন উদ্দিন গোপনে সালিশ-দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে ভিকটিমের মাকে ভুল বুঝিয়ে নেয়া হয় অপহরণের মামলা। বিষয়টি ভিকটিম আদালতে দায়েরকৃত মামলায় সেটি উল্লেখ করেছেন। মানবাধিকার কর্মীরা জানতে পেরে ভিকটিমের পাশে এসে দাঁড়ায়। এরপর মানবাধিকার কর্মীরা ভিকটিমসহ ভিডিওফুটেজ নিয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা করতে গেলে উল্টো তাদের ওসি ধর্ষণের ভিডিওফুটেজ রাখার দায়ে মামলার হুমকি প্রদান করে বলে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ লাল্টু অভিযোগ করেন। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থানায় ধর্ষণ মামলা রেকর্ড, আসামি আটক ও ভিকটিম পরিবারকে নিরাপত্তাসহ ৭ দফা দাবিতে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
×