ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাসচালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তিতে চবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বাসচালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তিতে চবি শিক্ষার্থীরা

রহমান শোয়েব, চবি ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম বেসরকারী মিনিবাস সার্ভিস (তরী)। এই তরী সার্ভিসের মাধ্যমে যাতায়াত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছেমতো রুট পরিবর্তন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তরী সার্ভিস। বিশ্ববিদ্যালয় রুট হিসেবে নগরীর নিউমার্কেট থেকে চবি ক্যাম্পাস পর্যন্ত তরী সার্ভিস চালুর অনুমিত পায় সিটি সার্ভিস। এই রুটে ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা শুরু করে অক্সিজেন, মুরাদপুর, ২নং গেট, জিইসি, ওয়াসা কাজির দেউরি হয়ে নিউমার্কেটে পৌঁছবে তরী। একইভাবে ফেরার পথে নিউমার্কেট থেকে যাত্রা শুরু করে একই রুট ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে ফেরার কথা। কিন্তু এ নিয়মের থোরাই কেয়ার করে তরীর চালকরা। ইচ্ছেমতো রুট পরিবর্তন, নির্ধারিত গন্তব্যে না গিয়ে মাঝপথে নামিয়ে দেয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে এই রুটে তরীর চালকরা তৈরি করেছে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ক্লাস শেষ হয় দুপুর ২টার দিকে। এ সময় তরী চালকরা ইচ্ছে করেই দ্রুত সময়ে ফিরে এসে বেশি ভাড়া পেতে মুরাদপুরের বেশি যেতে চায় না। হাটহাজারী সড়কসংলগ্ন চবি মূল ফটক থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসে। অথচ নিয়মানুযায়ী নিউমার্কেট পযন্ত যাওয়ার কথা। মাঝ পথে নামিয়ে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন ষোলশহর, ২নং গেট, জিইসি, ওয়াসা বা নিউমার্কেট ও এর আশপাশের অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। আবার বিকেলের দিকেও যাত্রী পাওয়া যায় না এমন অজুহাতে মুরাদপুরের বেশি যেতে চায় না তরী চালকরা। আবার অনেকেই মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন অথবা নিউমার্কেট থেকে অক্সিজেন এলাকায় গাড়ি চালায় বিকেলে। এতে করে এই রুটে তৈরি হয় যানবাহন সঙ্কট। এর ফলে ক্যাম্পাস থেকে নগরীতে যেতে এবং ফেরার পথেও কয়েক দফা গাড়ি পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি শুরু হয় সন্ধ্যা নামতেই। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় রুটে গাড়ি চলাচল এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। তরীগুলো এ সময়টাতে হাটহাজারী রুটে স্পেশালের নামে চালায় এক অন্যরকম নৈরাজ্য। নগরীর মুরাদপুর থেকে চবি মূল ফটক পর্যন্ত তরীতে ভাড়া ১৩ টাকা হলেও স্পেশাল নামকরণ করে আদায় করা হয় ৩০ টাকা! এতে করে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু উপায় না থাকায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হচ্ছেন এভাবে যাতায়াত করতে। তরী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোকতার নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে জনকণ্ঠকে বলেন, ‘এমন কোন অভিযোগ আমাদের জানা নেই। তবে কেউ যদি এমনটা করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আর এখন যেহেতু বিষয়টি জানলাম তাই আমরাও খোঁজ নেব কারা নিয়ম লঙ্ঘন করছে।’
×