ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেওয়ান সামছুর রহমান

ওষুধে জীবন ওষুধে মরণ

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ওষুধে জীবন ওষুধে মরণ

মানুষ প্রায় অসাধ্য কাজকে সাধন করে চলছে। মানুষ তার বুদ্ধি, মেধা, যোগ্যতা আর কর্মদক্ষতা দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। সৃষ্টির যত মহৎ ও কল্যাণকর কাজগুলো রয়েছে সেগুলো যেমন মানুষের দ্বারা সাধিত হচ্ছে তেমনি আবার অকল্যাণের কাজগুলোও মানুষই করছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলো চিকিৎসা সেবা। এ সেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গ মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু। সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক ওষুধ সেবন মানুষকে দিতে পারে সুস্থ সুন্দর জীবন কিংবা তাকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে। বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষই আবিষ্কার করেছে জীবনরক্ষাকারী এ সকল ওষুধসমূহ। কিন্তু মানুষরূপী কিছু অমানুষ যারা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করছে, অতি মুনাফা বা অবৈধ মুনাফার আশায় ওষুধে ভেজাল মিশিয়ে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে। আর সেবার এ খাতকে করছে প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যবসার বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এ খাতে ও ব্যবসা করবে তবে সেবার দিকটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন যেখানে জড়িত সেখানে কোনো আপোস থাকা উচিত নয়। এখন এদেশে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ, বিশে^র বহু দেশে রফতানিও হচ্ছে এদেশের ওষুধ। এ দেশেই আবার ভেজাল ওষুধের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ দরিদ্র শ্রেণীর জনগোষ্ঠী। দেশের বাইরে এদেশের ওষুধের চাহিদা থাকলেও শুধু ভেজাল ওষুধের কারণে ওষুধের মানের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। এক ফুঁতে যেমন চুলোর আগুন জ¦লে উঠে আবার আরেক ফুঁতে নিভে যায় সলতের শিখা। একটি কার্যকরী ওষুধে মৃত্যু পথযাত্রী একজন মানুষকে যেমন বাঁচাতে পারে তেমনি একটি ভেজাল ওষুধ একজন মানুষকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর দরজায়। জেনে শুনে যারা মানুষকে এ চরম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তারা মানুষরূপী হায়েনা। তাদেরকে রুখতে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে পাশাপাশি সচেতন হতে হবে জনসাধারণকে। ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, বিক্রেতা এমনকি এ কাজে সহায়তাকারী সকলকে বয়কট করতে হবে আর সরকারকে করতে হবে কঠোর আইন। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনের জন্য ওষুধ হোক ভেজালমুক্ত এই প্রত্যাশা আমাদের। সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ থেকে
×