ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাইফুল ইসলাম তানভীর

চাই মান যাচাই

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চাই মান যাচাই

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প অনেক এগিয়ে। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও আমাদের ওষুধ রফতানি হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। ভাল ওষুধ ঠিকই উৎপাদন হচ্ছে, বিপরীতে এই ভালোর পাশাপাশি ভেজাল ওষুধও উৎপাদন করছে কিছু কোম্পানি। এ সব কোম্পানি ভেজাল ওষুধ উৎপাদন করে যাচ্ছে। কেউ কেউ বিদেশ থেকেও নানা ধরনের ভেজাল ওষুধ এনে বাজারে বিক্রি করছে। রোগীদের ক’জনের সাধ্য আছে ওষুধ যাচাই করার? কোনটা ভেজাল ওষুধ আর কোনটা আসল ওষুধ এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় কোথায়? ডাক্তারগণ আসল, নকল যাই কাগজে লিখে দিচ্ছেন অধিকাংশ রোগী বা রোগীর লোকজন সেটাই কিনছেন। আমার মা দীর্ঘ বছর অসুস্থ ছিলেন। মা গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। মায়ের ডায়াবেটিস ছিল, উচ্চ রক্ত চাপ ছিল। একটা পর্যায়ে মা একের পর এক ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। মায়ের জন্য ডাক্তারগণ বিভিন্ন ওষুধ লিখতেন। তবে আমি কিছুটা যাচাই করেছি। কিন্তু সেটা তো ব্র্যান্ডের নাম দেখেছি। ওষুধের মধ্যে ভাল-মন্দ কি বুঝেছি? ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো যে ভেজাল ওষুধ তৈরি করেনি, সেটা কিভাবে বুঝব? সম্প্রতি অনেক কোম্পানির ওষুধ উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করেছেন। আদালতের রায় মানতে হলে ওই সব কোম্পানি তাদের ভেজাল ওষুধ আর উৎপাদন করতে পারবে না। এটা খুব ভাল কথা। কিন্তু এতদিন কিভাবে ভেজাল ওষুধ উৎপাদন করল? কিভাবেই বা সেটা বাজারে বিক্রি হলো? কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রশাসনের ভূমিকা কি ছিল? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কি ছিল? ডাক্তার কেন সে সব ভেজাল ওষুধ রোগীকে লিখে দিতেন? নিশ্চয়ই এর মধ্যে অনেক সুযোগ-সুবিধার বিনিময় ভাগাভাগি ছিল। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী (১৯৯৬-১৯৯৯) একটা সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সে সময় খুলনার একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গকে ধরাশয়ী করেছিলেন। ওই সময়ে তিনি ভাল প্রশংসাও অর্জন করেছিলেন। তিনি কি সে সময়ের মতো ভূমিকা রেখে এখন ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারীদের ধরাশায়ী করতে পারেন না? ভেজাল ওষুধ দিয়ে মানুষকে প্রাণে মেরে টাকা কামাবে পুঁজিবাদীরা- এটা কোন সভ্য দেশে হওয়া উচিত নয়। গুলশান, ঢাকা থেকে
×