ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ ইয়ার আলী

সর্ষের মধ্যে ভূত

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সর্ষের মধ্যে ভূত

দেশে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে ‘সর্ষের মধ্যে ভূত।’ এ প্রবাদটির সৃষ্টি ইতিহাস আমার জানা নেই। তবে মনে হয় আদিকালে ভূতে ধরা বা ভূতের আছড় থেকে মানুষকে চিকিৎসার জন্য কবিরাজ বা ওঝাঁগণ সরিষা ব্যবহার করতেন। কিন্তু কখনও যদি সরিষার মধ্যে কোন ত্রুটি থাকত তবে তা দিয়ে ভূত তাড়ানো যেত না। সম্ভবত এভাবেই এ কথাটির উৎপত্তি। থাক সে কথা। মানুষ ওষুধ ব্যবহার করে রোগ সারাতে বা রোগ প্রতিরোধ করতে। কিন্তু ওই ওষুধে যদি ভেজাল থাকে, মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকে, তবে তা রোগ না সারিয়ে আরেকটা রোগ সৃষ্টি করে থাকে। অর্থাৎ ওই সরিষার মতো ওষুধের মধ্যেই যদি রোগ থাকে তবে তা রোগ সারাবে কেমন করে? আমরা জানি দেশে বিএসটিআই ওষুধ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ নানা তদারকি প্রতিষ্ঠান আছে। যারা এ সংক্রান্ত দিকটি দেখভাল করে। এখন এরা বহাল তবিয়তে বর্তমান থেকেও যদি ওষুধে ভেজাল থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এখানেও ভেজাল অর্থাৎ ভূত ঢুকে গেছে। যাই হোক, ভেজাল যেই করুক বা যার জন্যই হোক। এটা তো নিঃসন্দেহে দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ভেজাল ওষুধের জন্য মারা যাচ্ছে নিরীহ মানুষ, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, মানুষ বিভিন্ন রকম জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে, আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তাই কিছু মানুষের সামান্য আর্থিক সুবিধার জন্য সারা জাতিকে এহেন বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়া মোটেই সমীচীন হবে না। দেশের, মানবতার তথা নিজের কল্যাণের জন্যই সবাইকে ওই সব ভূতকে চিহ্নিত করে দমন করতে হবে। ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে
×