ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ভেজাল ওষুধ!

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ভেজাল ওষুধ!

ভেজালে ভেজালে যেন ছেয়ে গেছে পুরো বাংলাদেশ। কোথায় ভেজাল নেই। তবে ভেজাল করার ক্ষেত্রেও যে স্থান, কাল, পাত্র থাকা উচিত তা অমানুষদের একটু হলেও ভাবা দরকার। মানুষের দেহ যে কোন সময় সুস্থ থেকে অসুস্থ হবেই। মানব দেহের এটি একটি প্রক্রিয়া। জীব জগতে বসবাসের ফলে মানুষ নানাভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এই অসুস্থ বা আক্রান্তের জন্য রয়েছে জীবন রক্ষাকারী বা সুস্থতার জন্য ওষুধ। একজন চিকিৎসক রোগ নির্ণয়ের পর ওষুধ দেবেন এটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় এমন সব অসুখ থাকে তখন চিকিৎসক ছাড়াই ওষুধ সেবন করতে হয়। কিন্তু; এই ওষুধেই ঢুকে গেছে বিরাট কারসাজি। অর্থাৎ বিষ বনাম ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। মানহীন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে বাজার সয়লাব। বোঝার উপায় নেই কোনটা আসল কোনটা নকল। প্যারাসিটামল, নাপা, হিসটাসিন ও কাশির ওষুধগুলো প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় সাধারণত। অথচ এই ওষুধ সেবন করেও অনেকে ছুটেছেন চিকিৎসকের কাছে। মারাত্মক পার্শ্ব প্রক্রিয়া দেখা গেছে এর ফলে। কথা হচ্ছে কারা তৈরি করছে এসব ওষুধ। অতিরিক্ত মুনাফা ভোগের চরম বদনেশা এসব অসাধু উৎপাদনকারীদের। এদের আলাদা করে চিহ্নিত করা এখন সময়ের দাবি। সরকারের এই ব্যাপারে আন্তরিক ও কার্যকর উদ্যোগ নেয়া জরুরী। দেশের জনগণ ও জনস্বার্থের ব্যাপারে সরকারই বেশি মাথাব্যথা হওয়া উচিত। অথচ দিন দিন এই ভেজাল ওষুধ বিভ্রান্ত হচ্ছে জনসাধারণ। ওষুধের দাম পর্যন্ত আকাশছোঁয়া। জেলা শহরে যেসব সরকারী বেসরকারী চিকিৎসক রয়েছেন তাদের প্রশ্রয়েও ঢুকে গেছে বাজারে মানহীন ওষুধ। তাই চিকিৎসকরাও দায় কিছুতে এড়াতে পারেন না। ওষুধের মান, গুণাগুণ নির্ণয় করা একজন চিকিৎসকেরও দায়িত্ব। এতে করে ভেজাল, মানহীন ওষুধ বাজার থেকে উঠে যেতে সময় লাগবে না এবং অসাধু অমানুষ ভেজাল ওষুধ সরবরাহকারীদের নিয়ন্ত্রণ রোধ অনেকাংশেই কেটে যাবে। একসময় ভেজাল বিল্প্তু হবে। পশ্চিম উকিলপাড়া, ফেনী থেকে
×