ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. এম এ কাসেম

পদ্মা সেতু উপাখ্যান- এখন কী হবে?

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পদ্মা সেতু উপাখ্যান- এখন কী হবে?

প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি সংক্রান্ত উপাখ্যান শুরু হয় টেন্ডার সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নিয়ে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতার অভিযোগ করে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের গায়ে ‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি’র কালিমা মাখিয়ে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়, ঋণ চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই সময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রকল্পের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ২ জুলাই ২০১২ তারিখে ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প বৃত্তান্ত’ নিয়ে একটি তথ্যভিত্তিক নিবন্ধ লিখেছিলেন। ওই নিবন্ধে তিনি স্পষ্টভাবে নিচের কথাগুলো বলেছেন : * এডিবি কর্তৃক কৃত কারিগরি সাহায্য সংক্রান্ত প্রস্তাব মূল্যায়নে ভুল বাংলাদেশ সরকারের বিশেষজ্ঞ দলের কাছে ধরা পড়ে এবং এডিবি পরবর্তীতে সেটা সংশোধন করে; * একটি চীনা নির্মাণ কোম্পানির প্রাক-যোগ্যতা গ্রহণ করার জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে; ওই চীনা কোম্পানি একটি ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছিলÑ যা বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রমাণ করে দিয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগেই ওই চীনা কোম্পানি নিজেদের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়িয়ে যায়। এর পরই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশকৃত প্রাক-যোগ্য ঠিকাদারদের তালিকা অনুমোদন করে। * বাংলাদেশ সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি সকল কারিগরি পরামর্শক কোম্পানির কারিগরি প্রস্তাব এবং আর্থিক প্রস্তাবের অসঙ্গতিগুলো দূর করে বিশ্বব্যাংকে প্রেরণ করে এবং বিশ্বব্যাংক ওই তালিকা লিখিতভাবে অনুমোদন করে। * এরপর সরকার যখন অপেক্ষা করছিল, তখনই বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে এবং পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে, যা সর্বশেষে কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতার এই অভিযোগকে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কলামিস্ট, টকশোর আলোচক, মিডিয়া প্রমাণ ছাড়াই সত্য ধরে নিয়ে সেই সঙ্গে সুর মিলান এবং আরও জোর দিয়ে সমর্থন জানান। এই অপপ্রচার এত শক্তিশালী ছিল যে, শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী (সৈয়দ আবুল হোসেন) মন্ত্রিত্ব হারান, দেশের জনগণের কাছে তার মর্যাদা লুণ্ঠিত হয়, আহত হয় তার পরিবার, আহত হয় সমাজ, আঘাতপ্রাপ্ত হয় সরকারের ভাবমূর্তি; প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি বিব্রতকর অবস্থার বিষয়টি তো আছেই। দুঃখের বিষয়, তাদের কাছে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রকল্পের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যানের ‘ফার্স্ট হ্যান্ড’ তথ্য এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ওই লেখাটি উপেক্ষিত হয়; আমল পায়নি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। নিশ্চয়ই ওই সব ব্যক্তি, কলামিস্ট, টকশোর আলোচক, মিডিয়াÑএখন অনুশোচনা করবেন। বিশ্বব্যাংক কর্তৃক কার্যক্রম স্থগিত এবং ঋণ চুক্তি বাতিল করে দেয়ার পর পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে গেল, আশঙ্কা দেখা দিল পদ্মা সেতু নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের আশা এবং অপেক্ষা পূরণের; অনিশ্চিত হয়ে গেল পদ্মা সেতুকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং সমগ্র বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের স্বপ্ন। সাধারণ জনগণের মনে একদিকে হতাশা, অন্যদিকে অপমানের জ্বালা (বিশ্বব্যাংক একতরফাভাবে বাংলাদেশের আপামর জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা স্থগিত করে দিল)। এমন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা এলো, তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে ঘোষণা দিলেন- পদ্মা সেতু হবে। আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব, বিশ্বব্যাংকের অর্থ ছাড়াই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। গ্রামের গরিব কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষ স্নেহ ভরে বলেন, ‘শেখের বেটি’। দেশবাসী মনে মনে বলল, ‘শেখের বেটি’ বটে! দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ল। শুরু হয় পদ্মা সেতু উপাখ্যানের দ্বিতীয় অধ্যায়। দুঃখের বিষয়, বিশ্বব্যাংকের ঔদ্ধত্যকে উপেক্ষা করে যখন প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীর আত্মমর্যাদা বোধকে উজ্জীবিত করলেন, সারা দুনিয়ার ছোট-বড় দেশের সামনে একটা সাহসী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, তখন বিরোধী দল তো বটেই, এমনকি সাম্রাজ্যবাদী বাম রাজনৈতিক দলগুলোও প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পক্ষে দাঁড়ায়নি, বরং বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সুবিধাভোগী এবং দরদীরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। সরকারী-বেসরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাধারণ অনেকের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিলÑ আমরা কি পারব? আমরা পারলেও, বিশ্বব্যাংক তো চটে যাবে, বিশ্বব্যাংককে উপেক্ষা করা কি আমাদের জন্য ভাল হবে? এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দলেও অনেকের মধ্যে দ্বিধা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লক্ষ্যে দৃঢ়বিশ্বাসী, সিদ্ধান্তে অবিচল, আত্মপ্রত্যয়ে অটল। দেশবাসীর অশেষ দোয়া আর অকুণ্ঠ আস্থা মাথায় করে সমস্ত বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ‘শেখের বেটি’ বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়া নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার চ্যালেঞ্জ নিজের কাঁধে নিলেন। বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকার সংবাদে দেখা যায় পদ্মা সেতু নির্মাণ এখানে পিছিয়ে আছে, ওখানে পিছিয়ে আছে, যা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করে। এই নিবন্ধ লেখার আগে নির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বিদেশী প্রকৌশলীকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বললেন, ব্রিজের কাজ পিছিয়ে ছিল, এখন ‘অন ট্র্যাক’ নদী শাসনের কাজ আস্তে হচ্ছে, তবে ধরে ফেলবে। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম। সময়মতো সব কাজ শেষ হবে তো? তিনি বললেন, তা হবে ২০১৯ সালেই শেষ হবে- তবে ঠিকাদারদের ওপর চাপ রাখতে এবং নির্মাণ কর্তৃপক্ষকে ‘চৎড়ধপঃরাব’ থাকতে হবে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জনগণ গভীর আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে পদ্মা সেতু নির্মাণ সমাপ্তির দিকে। আশা করা হচ্ছে, পদ্মা সেতু নির্মাণ সময়মতোই শেষ হবে। এবার আসা যাক পদ্মা সেতু উপাখ্যানের তৃতীয় অধ্যায়ে। বিজ্ঞ পাঠকবর্গ, পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রকল্পের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যানের ইতোপূর্বে উল্লিখিত নিবন্ধে নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন: প্রথমত, মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা সত্ত্বেও একটি চীনা নির্মাণ কোম্পানির প্রাক-যোগ্যতা গ্রহণ করার (যেটা অন্যায় হতো) জন্য বাংলাদেশ সরকারের ওপর বিশ্বব্যাংক চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই চাপের কাছে নত হয়নি। এতে বিশ্বব্যাংক রাগান্বিত হতে পারে, তবে এ জন্য ঋণ চুক্তি বাতিল করার কথা নয়। তাহলে কি কারণে বাতিল করল? দ্বিতীয়ত, যে ক্ষেত্রে ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত সবকিছুই বিশ্বব্যাংক লিখিতভাবে অনুমোদন করেছে এবং বাংলাদেশ সেতু নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী পদক্ষেপ না জানিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে এবং কার্যক্রম স্থগিত করে- কেন? প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুর্নীতির কারণে যে ঋণ চুক্তি বাতিল হয়নি, এটা পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যানের তথ্য থেকে আগেই বোঝা গিয়েছিল এবং এখন তা কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। কানাডার আদালতের ২৭পাতা রায়ের ওপর ভিত্তি করে রচিত রিপোর্ট (প্রথম আলো, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭) থেকে জানা যায়Ñ ক. ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের ইন্টেগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্সি (আইএনটি) বিভাগের তদন্তকারী পল হেইন্স রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে (আরসিএমপি) জানান, ৪ জন আভাসদানকারীর কাছ থেকে ই-মেইলে এ পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নির্বাচনে দুর্নীতির খবর পেয়েছেন। আভাসদানকারী এই খবর শুনেছেন। খ. চারজন আভাসদানকারীর মধ্যে ১ম ও ৩য় জনকে তদন্তকারী পল হেইন্স চেনেন না; ২য় জনকে চেনেন, কিন্তু তার অনুরোধে তদন্তকারী কানাডা পুলিশের কাছে দ্বিতীয় জনের পরিচয় গোপন রেখেছে। তাছাড়া দ্বিতীয় আভাসদানকারী নিজেও কাজ পেতে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার কথা নিজেই উল্লেখ করেছেন। এ অবস্থায় তার দেয়া তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। সম্ভবত সে কারণেই বিশ্বব্যাংকও ২নং আভাসদানকারী প্রদত্ত নামের তালিকার কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আর চতুর্থ জন যেসব তথ্য দিয়েছেন, তা মামলার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ থেকে মনে হতেই পারে যে, অভিযোগকারীরা রহস্যজনক। গ. দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে কানাডা পুলিশ জব্দ করা আড়িপাতার টেলিফোন রেকর্ড জমা দিয়েছিল; কিন্তু যথেষ্ট আইনী ভিত্তি না থাকায় আদালত ওই সব রেকর্ড আমলে নেয়নি। ঘ. দরপত্রের মূল্যায়ন কমিটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি সম্পর্কে আদালত বলেছে, এ অভিযোগটি করা হয়েছে গুজবের ওপর ভিত্তি করে। ঙ. বিশ্বব্যাংক ২নং আভাসদানকারী প্রদত্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারত, কিন্তু করেনিÑ আদালত এ বিষয়টিতেও নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। চ. পরিশেষে আদালত জানতে চায়, কানাডা পুলিশের কাছে আদালতে জমা দেয়া সাক্ষ্য-প্রমাণের বাইরে নতুন সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে কি-না। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) জানায়, তাদের কাছে নেই। বিশ্বব্যাংকের কাছে থাকলে, অবশ্যই রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে (আরসিএমপি) সরবরাহ করত। উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যানের নিবন্ধে বর্ণিত তথ্য (দৈনিক সমকাল, ২ জুলাই, ২০১২) এবং প্রথম আলো, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭-বিশ্বব্যাংক কোনটাই প্রতিবাদ করেনি বা ভিন্ন মত দেয়নি। সব কিছুর পরে জনমনে এই প্রশ্নটা থেকেই যাবেÑ বিশ্বব্যাংক কেন এই কা-টা করল? সরকার হয়ত নানা কারণে এ ব্যাপারে কিছু নাও জানাতে পারে। আমাদের দেশের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বীরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন; তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ একজন বিশ্লেষক সাংবাদিক এই কাজটি করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। পদ্মা সেতু উপাখ্যানের তৃতীয় অধ্যায় শেষ হয়েছে একদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্ত, দৃঢ়তা এবং আত্মপ্রত্যয়ের বিজয়, তথা বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার বিজয়; অন্যদিকে, ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে বিশ্বব্যাংকের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। পদ্মা সেতু উপাখ্যানের শেষ অধ্যায়ে কী হবেÑ তা এখনও দেখার বাকি আছে। বিশ্বব্যাংক কি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবে? বাংলাদেশ সরকার কি ক্ষতিপূরণ চান? ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কি ক্ষতিপূরণ দাবি করবে? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তরা বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে। লেখক : প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স
×