ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে মাতৃভাষা দিবস পালন

একুশের চেতনায় ঐক্যবদ্ধের শপথ

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

একুশের চেতনায় ঐক্যবদ্ধের শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারাদেশে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক গঠন একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ফুলে ফুলে ভরে যায় শহীদ বেদি। প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মসূচীর। প্রথমে ফুল দেয় শ্রদ্ধা জানান, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এরপর ফুল দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। পুলিশের একটি চৌকস দল সামরিক রীতি অনুযায়ী শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শহীদ মিনার অভিমুখে ছিল জনস্রোত। রাত অবধি চলে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী। তবে রাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ড ও সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুর ই আলম মিনা, আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, যুবলীগ, যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রমৈত্রী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, প্রজন্ম একাত্তর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী তরুণ উদ্যোগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ১৬ বিশিষ্ট নাগরিককে চসিকের সম্মাননা ॥ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ১৬ বিশিষ্ট নাগরিককে সম্মাননা পদক প্রদান করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে ৯ বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক এবং ৭ বিশিষ্টজনকে সাহিত্য সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক ও সম্মাননা প্রদান করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ২০১৭ সালের চসিকের একুশে স্মারক সম্মাননা পদক যাঁরা পেলেন তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে বেগম মুশতারি শফি, সঙ্গীতে শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব (মরণোত্তর) ও আব্দুল গফুর হালী (মরণোত্তর), শিক্ষায় প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, সমাজ সেবায় আজিম আলী, চিকিৎসা সেবায় প্রফেসর ডা. এ এস এম ফজলুল করিম, সাংবাদিকতায় এম নাসিরুল হক, ভাষা আন্দোলনে শেখ মোজাফ্ফর আহমেদ (মরণোত্তর) ও ক্রীড়ায় মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। সাহিত্য সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হন কথাসাহিত্যে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহিত উল আলম, কবিতায় সাংবাদিক কবি ও প্রাবন্ধিক অরুণ দাশগুপ্ত, শিশু সাহিত্যে ছড়াকার বিপুল বড়ুয়া, নাটকে নাট্যকার অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী মিলন চৌধুরী ও নাট্যকার কবি অভিক ওসমান, মুক্তিযুদ্ধ গবেষনণায় ডা. মাহফুজুর রহমান এবং প্রবন্ধে ড. মাহবুবুল হক। সিলেট রাত ১২টার আগে থেকেই সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নামে মানুষের। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে জড়ো হন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। বৃষ্টিতে ভিজেই স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে নানা সংগঠন। রাত ১২টা ১ মিনিটে সিলেট শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে সিলেট মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের প্রশাসক, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রলীগ, উদীচী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, চেম্বার অব কমার্স, জাসদ, বাসদ, সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইমজাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। একুশে প্রথম প্রহরেই মানুষের ঢল নামে রাজশাহীর বিভিন্ন শহীদ মিনারে। সকাল থেকে প্রভাত ফেরি আর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ভিড় জামান মানুষ। শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে একুশের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর নেতাকর্মীরা শপথ গ্রহণ করেন। রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে শপথ বাক্য পাঠ করার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নগর সভাপতি সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আর ভুবন মোহন পার্ক শহীদ মিনারে শপথ বাক্য পাঠ করান সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। ময়মনসিংহ ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন একুশের প্রথম প্রহরে টাউন হল ময়দানের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ প্রশাসক অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও ময়মনসিংহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। খুলনা রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ, কেএমপি ও জেলা পুলিশ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কেডিএ, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, ন্যাপ, বিএমএ, খুলনা ওয়াসা, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদসহ অন্যান্য রাজনৈতকি দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্ব স্ব ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। রংপুর ভাষা শহীদদের স্মরণ করল রংপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ভাষা সৈনিক, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনগণ। প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া খানম, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেন করেন। এরপরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, প্রেসক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ব্যানারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। নেত্রকোনা রাত ১২টা ১ মিনিটে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বলন করে দিবসের সূচনা করেন। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উদীচী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, প্রেসক্লাব, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ও শতদল সাংস্কৃতিক একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। খাগড়াছড়ি রাত ১২টা ১মিনিটে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াদিুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলী, প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পু®পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানান। জয়পুরহাট ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচী শুরু হয়। ভোর থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েসহ সাধারণ মানুষ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য প্রদান করেন। এ সময় মানুষের ঢল নামে সেখানে। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। একুশের প্রথম প্রহরে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ভিড় করে। রাত ১২টার পরেই শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেন। প্রথমেই নগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার মইনুল হক, মহিলা এমপি এ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এবং নাসিক মেয়র ডাঃ আইভীর পক্ষে কাউন্সিলর ও সচিব ছাড়াও শহর যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর যুবদল, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনেরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। নরসিংদী নরসিংদীতে মুছলেহ উদ্দীন স্টেডিয়াম নরসিংদী, শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসক ড, সুবাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নরসিংদী সরকারী মহিলা কলেজ, নরসিংদী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সাটিরপাড়া কালি কুমার উচ্চ বিদ্যালয়সহ জেলা বিএনপি, নরসিংদী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শেরপুর মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই শেরপুরে শহীদ মিনার অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। প্রভাতফেরি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা ছাড়াও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ শহরের চকবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার। বগুড়া ১২টা ১ মিনিটে শহরের শহীদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল, জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ। বরিশাল রাত বারোটা এক মিনিটে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। একই সময় গৌরনদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। ভোলা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোলার সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। রাত ১২টা এক মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসক সেলিম উদ্দিন শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। এরপর পুলিশ বিভাগের পক্ষে পুলিশ সুপার আকতার হোসেন, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বিএনপি, বিজেপি, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, ভোলা প্রেসক্লাব শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। মাগুরা রাত ১২টা এক মিনিটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মুহঃ মাহবুবর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সাহাজ উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রুস্তম আলী। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মাগুরা পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ, এলজিইডি, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পাটির্, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, প্রেসক্লাব, আইনজীবী সমিতি, আদর্শ কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। লক্ষ্মীপুর ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী। পরে পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আ.স.ম মাহাতাব উদ্দিন, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন। ঝিনাইদহ রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সে সময় জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। প্রভাতফেরি শেষ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৮ ভাষা সৈনিককে সংবর্ধনা দেয়া হয়। গোপালগঞ্জ রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোঃ মোকলেসুর রহমান সরকার। এরপর পর্যায়ক্রমে পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনসমূহ, জাসদ ও সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিএমএ ও স্বাচিপসহ বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠন, উদীচী ও ত্রিবেণীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। গাইবান্ধা প্রথম প্রহরে পৌর শহীদ মিনারে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম প্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ আশরাফুল ইসলাম ও গাইবান্ধা পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ফেনী ভাষা শহীদ সালামের গ্রামের বাড়ি দাগনভুঞা সালামনগরে ভাষা শহীদ সালম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ সালামের ভাই আবদুল করিমসহ সালাম পরিবারের সদস্যবৃন্দ। এর আগে ফেনী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, সংসদ সদস্য জাহানআরা বেগম সুরমা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান, পুলিশ সুপার রেজাউল হক, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফেনী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কুমিল্লা প্রথম প্রহরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ান শফিউল্লাহ, জেলা প্রশাসক জাহাংগীর আলম, জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, হাইওয়ে পুলিশ সুপার রেজাউল করিম পিপিএম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেমায়েত উদ্দিন, র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কমান্ডার মেজর মোস্তফা কায়জার, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপপরিচালক মহের উদ্দিন শেখ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল, সরকারী-বেসরকারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মুন্সীগঞ্জ প্রথম প্রহরে শিল্পকলা চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে যায়। এরপর ভোরে প্রভাতফেরি করে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় শহীদ মিনার। প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা। এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর গাজী মোঃ তাওহীদুজ্জামানসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বইমেলা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাসভাসহ চলছে নানা কর্মসূচী। কুষ্টিয়া প্রথম প্রহরে কালেক্টরেট ভবন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে সর্বস্তরের মানুষের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কার্যক্রম। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারী ও বেসরকারী ভবনসমূহে অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। ভোরে বিভিন্ন স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নগ্ন পায়ে বের করে প্রভাতফেরি। টাঙ্গাইল রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় এমপি ছানোয়ার হোসেন ও জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন। এরপর পুলিশ সুপার মাহবুব আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, টাঙ্গাইল পৌরসভা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন ওরফে বাবর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন প্রমুখ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। রাঙ্গামাটি রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। এরপর জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, বিএনপি, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটসহ সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও মাতৃভাষা বাংলার জন্য যে মহান মানুষেরা জীবন দিয়ে গেছেন, সেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জনস্রোত নেমেছিল ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ ফারহাত আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, প্রেসক্লাব, উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়। সিরাজগঞ্জ রাত ১২টা ১ মিনিটে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা সিরাজী, ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের। কিশোরগঞ্জ রাত রাত ১২টা ১ মিনিটে সরকারী গুরুদয়াল কলেজ মাঠ চত্বরে শহীদ মিনারে এমপি দিলারা বেগম আসমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোঃ আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান শাজাহান, সাধারণ সম্পাদক স্পেশাল এম এ আফজল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সরকারী গুরুদয়াল কলেজের অধ্যক্ষ রাম চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদ উল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। নওগাঁ শুধু শহরেই নয়। জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নতুন প্রজন্মরা হাতে হাতে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসার দৃশ্যটি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাগেরহাট রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি, এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, এডিসি মোমিনুর রশীদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সর্বস্তরের মানুষ এ সময় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গাজীপুর রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক এসএম আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোলায়মান। এ সময় ভাষা শহীদ আবুল বরকতের পরিবারের সদস্যরাও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়াও গাজীপুর প্রেসক্লাব, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য শহীদ মিনারে আসেন শ্রদ্ধা জানাতে। দিবসটিতে গাজীপুরস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অনুরূপ কর্মসূচী পালিত হয়। নীলফামারী রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন মহান একুশের অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। যশোর রাত ১২টা ১ মিনিটে যশোর সরকারী মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ পৌর শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে রচনা লিখন, সুন্দর হাতের লেখা, কবিতা আবৃত্তি ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
×