ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে মে সরকার

ব্রেক্সিট বিল নিয়ে বিতর্ক শুরু লর্ড সভায়

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ব্রেক্সিট বিল নিয়ে বিতর্ক শুরু লর্ড সভায়

ব্রিটেনের হাউস অব লর্ডসে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মেকে ক্ষমতা প্রদানে একটি বিলের ওপর সোমবার থেকে বিতর্কে শুরু হয়েছে। এটা এক সম্ভাব্য কৌশলপূর্ণ পরীক্ষা তার কনজারভেটিভ সদস্যদের জন্য। কারণ, এ কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই কনজারভেটিভ পার্টির। খবর এএফপির। নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে এ মাসের প্রথম দিকে খসড়া আইনটি ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অনুমোদন পাওয়ার পর আইন পরিষদের অনির্বাচিত উচ্চকক্ষে বিষয়টি আলোচনার জন্য প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিলটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করার অধিকার দেয়া হচ্ছে। ইইউ ত্যাগের জন্য অনুচ্ছেদ ৫০ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা শুরু করা এক আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। এক বহুল পরিচিত আদালতে মামলায় হেরে যাওয়ার পর সরকার এ সংক্ষিপ্ত বিলটি উত্থাপন করে। ওই মামলায় বিচারকরা নির্দেশ দেন যে, ব্রাসেলসের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের আগে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবশ্য পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে হবে। হাউস অব কমনসে এ মাসে প্রস্তাবটি ৪৯৪ ভোটে পাস হয় এবং এর বিরুদ্ধে ভোট পড়েছিল ১২২টি। কিন্তু সরকারের হাউস অব লর্ডসে এক ব্যাপক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ৮০০ বেশি সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে কনজারভেটিভ সদস্য সংখ্যা মাত্র ২৫২। পিয়ারবা ব্রিটেনে ইইউভুক্ত নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিতের পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিলটিতে সংস্কার আনার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং একটি চূড়ান্ত ব্রেক্সিট বিলের ওপর পার্লামেন্টে কীভাবে ভোটাভুটি হবে তা সত্যায়িত করছেন। বিরোধী লেবার পার্টির পিয়ার ও সাবেক ইউরোপিয়ান কমিশনার পিটার স্যান্ডেলসন বলেছেন, দুটি বিষয়েই গুরুত্বের ওপর দৃঢ় মতামত রয়েছে। কিন্তু তিনি সন্দেহও প্রকাশ করে বলেছেন, এ অনির্বাচিত কম ব্রেক্সিট বিলকে সম্পূর্ণভাবে নস্যাতের চেষ্টা করবে। তিনি রবিবার বিবিসি টেলিভিশনকে বলেন, দিনের শেষে হাউস অব কমনস অবশ্যই জয়ী হবে। কারণ, এটি নির্বাচিত কক্ষ। কিন্তু হাউস অব লর্ডস আগেই বিষয়টা স্বীকার করে নেবে না বা থেমে যাওয়ার চেষ্টা করবে না। বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে বিচারবিষয়কমন্ত্রী লিজ ট্রুস বলেছেন, উচ্চকক্ষকে জুন গণভোটের ফলাফলের প্রতি সমর্থন জানানো উচিত। ওই ভোটে ৫২ শতাংশ ভোটার ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেয়। তিনি বলেন, ব্রিটিশ জনগণ সে জন্যই ভোট দিয়েছে। গণভোটে তারা স্বচ্ছ এবং হাউস অব লর্ডসের সদস্যদের যে জনমতের প্রতি সমর্থন জানানো উচিত। তার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন কনজারভেটিভ এমপির ডমিনিক রধি। তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, যে পিয়াররা ব্রেক্সিট বিলকে বাধা দিতে চান তাদের প্রতি সদয় থাকা উচিত হবে না ব্রিটিশ জনগণের যারা ভোট দিয়েছেন ব্রেক্সিটের পক্ষে। তিনি বলেন, এ স্পষ্ট গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট বিবেচনার প্রভাব হওয়া উচিত পিয়ারদের। হাউস অব লর্ডসে বিলটির ওপর বিতর্ক চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। আগামী সপ্তাহে আরও দুদিন আলোচনা হবে এর ওপর এবং বিলটির চূড়ান্ত রিডিং হওয়ার কথা ৭ মার্চ। হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা বিলটি সংশোধনীর জন্য ভোট দিলে তা আলোচনার জন্য হাউস অব কমনসে পাঠানো হবে আবারও। ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস বলেন, তার প্রত্যাশা বলে সরকার আর্টিক্যাল ৫০ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত সীমা আগামী মাস শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন করতে পারবে। তিনি বলেন, আমার আস্থা রয়েছে। আমাদের নির্ধারিত সময়সূচীর আগেই আমরা তা সম্পূর্ণ করব।
×