ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পাল্টা ব্যবস্থা

উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা আমদানি স্থগিত চীনের

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা আমদানি স্থগিত চীনের

চীন শনিবার জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়া থেকে সব ধরনের কয়লা আমদানি স্থগিত করেছে। দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী বন্ধ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অংশ হিসেবে কাজটি করা হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে শনিবার জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞাটি রবিবার থেকে কার্যকর হবে এবং এটি এ বছরের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। চীনা ব্যবসা ও সহায়তা উত্তর কোরিয়ার অথনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী অবদান রেখেছে। এ সিদ্ধান্তটি উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের হিসাব অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার রফতানি পণ্যের ৩৪ শতাংশ ৪০ শতাংশ হচ্ছে কয়লা। প্রায় সব কয়লাই জাহাজে করে চীনে রফতানি করা হয়েছে। কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ছয় দিন পর ঘোষণা করা হলো। নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ভঙ্গ করে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ও পরীক্ষা করার বিষয়ে সোচ্চার হওয়ায় চীন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। শনিবার চীন ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন মন্তব্য করেনি। মন্ত্রণালয়ের প্রেস অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার দাবি যে, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম নতুন ধরনের মিসাইল সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী পরিসীমায় পুকগুকসং-২ মিসাইলটি একটি কঠিন-জ্বালানি প্রযুক্তি। যা যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়াকে যে কোন মিসাইল হামলা থেকে রক্ষা করবে। নবেম্বরে নিরাপত্তা পরিষদে নতুন করে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। উত্তর কোরিয়ায় পঞ্চম ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদ ওই প্রস্তাব গ্রহণ করে। গৃহীত প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, উত্তর কোরিয়া বছরে সাত হাজার পাঁচ শ’ মেট্রিক টনের বেশি কয়লা রফতানি করতে পারবে না অথবা ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি কয়লা বিক্রি করতে পারবে না। এ ধরনের সীমাবদ্ধতা এবরাই প্রথম করা হলো। এটি স্পষ্ট নয় যে, ইতোমধ্যে এ বছর এ সীমায় পৌঁছতে পেরেছে কি-না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা মনে করে, উত্তর কোরিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে চীন। নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ খুব আক্রমণাত্মক হবে। তারপরও এতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। কমিউনিস্ট প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ায় অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে এ ভয়ে চীন খুব একটা মাথা ঘামায় না। গত এপ্রিল মাসে চীন ঘোষণা করে যে, তারা উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করবে। জাতিসংঘের অংশ হিসেবে তারা কাজটি করবে, যাতে দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীতে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করা না যায়।
×