স্টাফ রিপোর্টার ॥ অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার হাফিজুর রহমান বিজয়কে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে এএসপি (সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্যাতনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে বাসস্ট্যান্ড ও ফ্লাইওভারে উঠার সিঁড়ি অপসারণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেনÑ ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানিয়েছেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, আদেশের জন্য আসলেও সে দিন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত শুনানি হবে। গত ২২ নবেম্বর শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনটি মুলতবি রেখেছিলেন। সোমবার মামলাটি কার্যতালিকায় আসলে আদালত আদেশের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩ নবেম্বর রিট আবেদনটি করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। যেখানে অধস্তন আদালতের শৃঙ্খলা বিধান ছাড়াও উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ-সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদকেও রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। যাকে সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। রিট আবেদনে ৯৫ (১) ও ১১৬ অনুচ্ছেদকে সংবিধানের ২২ ও ১০৯ এবং বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ-সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলায় রায়ে প্রদত্ত নির্দেশনার সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এসপি ও ওসিকে তলব ॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার হাফিজুর রহমান বিজয়কে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে এএসপি (সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্যাতনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিজয়ের মা জোছনা বেগমের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোটের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ নির্যাতনের ঘটনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা, নির্যাতিতাকে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, বরিশাল জোনের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সঙ্গে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোঃ আমিনুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
রিট খারিজ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে বাসস্ট্যান্ড ও ফ্লাইওভারে উঠার সিঁড়ি অপসারণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।